গুয়াহাটিঃ ‘নাগরিকত্ব সঙশোধনী আইনের(ক্যা)বিরুদ্ধে রাজ্যে লাগাতার প্ৰতিবাদ আন্দোলন চললেও গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠেয় ‘খেলো ইন্ডিয়ার’ কর্মসূচিতে কোনওরকম ,প্ৰতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হবে না’। সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)খেলো ইন্ডিয়ার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই আশ্বাস দিয়েছে। আসু পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে খেলো ইন্ডিয়ার ১৩ দিনের মেগা ইভেন্ট চলাকালে ক্যা-র বিরুদ্ধে মহানগরী গুয়াহাটি সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্ৰতিবাদ অব্যাহত থাকবে। তবে খেলো ইন্ডিয়ার কর্মসূচিতে কোনও বাগড়া দেওয়া হবে না।
দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় আসুর সভাপতি দীপাঙ্ক কুমার নাথ বলেন,‘নতুন নাগরিকত্ব আইনের ক্ষেত্ৰে আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় থাকবো। ছাত্ৰরা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবং এখন খেলো ইন্ডিয়ায়ও অংশ নেবে’। তিনি আরও বলেন,‘খেলো ইন্ডিয়া’ নিয়ে আসুর কোনও সংরক্ষণ নেই। ‘কিন্তু প্ৰধানমন্ত্ৰী যে পদ্ধতিতে অসমের মানুষের ওপর ক্যা চাপিয়ে দিয়েছেন তার বিরোধিতা করে যাবো আমরা। আর এজন্যই রাষ্ট্ৰীয় ক্ৰীড়া উদ্বোধনে প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদি এখানে এলে তাঁর সামনেই ক্যার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। ‘তবে প্ৰধানমন্ত্ৰী এই ক্ৰীড়া উদ্বোধনে এখানে যে আসছেন না বুধবার আমরা সেটা জানতে পেরেছি। তবে ক্যা নিয়ে প্ৰধানমন্ত্ৰী অটল থাকলেও ভবিষ্যতে তিনি অসমে এলে রাজ্যের মানুষের প্ৰতিবাদের মুখে তাঁকে পড়তেই হবে’।
আসু নেতারা আরও বলেন,১৯৫১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত অবৈধ বিদেশির বোঝা ইতিমধ্যেই কাঁধে নিয়েছে অসম। কিন্তু ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পরে অসমিয়া মানুষের পক্ষে একজনও বাড়তি বিদেশির বোঝা নেওয়া সম্ভব নয় তা সে হিন্দু ও মুসলিমই হোক না কেন। ‘ক্যার বিরুদ্ধে পথে ও সুপ্ৰিমকোর্টে আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্ৰিক আন্দোলন চলবে। বৃহস্পতিবার ক্যা-র বিরুদ্ধে রাজ্যে ‘রণশিঙ্গা’ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেন,মানুষ ক্যার বিরুদ্ধে পরম্পরাগত বাদ্য যন্ত্ৰ ডবা,শঙ্খ,নাগারা,খোল,বরতাল ইত্যাদি বাজিয়ে রণশিঙ্গা বাজাবেন। শিল্পী সমাজ ছাড়াও ৩০টি জাতীয় সংগঠন এই কর্মসূচির প্ৰতি সমর্থন জানিয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ক্যা নিয়ে অগপ নেতাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বললেন দলীয় কর্মীরা
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Torch Relay of 3rd Khelo India Youth Games reaches South Salmara Mankachar