গুয়াহাটিঃ চূড়ান্ত এনআরসি(রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি)প্ৰকাশের হাতে মাত্ৰ আর ১৬ দিন বাকি। অর্থাৎ ৩১ আগস্ট রাজ্যে এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্ৰকাশিত হবে। বিশেষ করে এনআরসি প্ৰকাশ এবং এর পরবর্তী সময়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় যাতে কোনও ফাঁক থেকে না যায় তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। অসম পুলিশের সঙ্গে রাজ্যের গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগ আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে নিরাপত্তা সংক্ৰান্ত ব্লুপ্ৰিন্ট প্ৰস্তুত করেছে। রাজ্য সরকার ১৪টি জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের কাছে অতিরিক্ত কেন্দ্ৰীয় সশস্ত্ৰ পুলিশ(সিএপিএফ)বাহিনী চেয়েছে। বরাক উপত্যকা,নিম্ন ও মধ্য অসমের জেলাগুলিকেই অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজ্যের আনুমানিক ৩০০টি থানা এলাকা এবং ২৫০০টি এনআরসি সেবা কেন্দ্ৰে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাঙ্গা করে তোলা হয়েছে। গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগের একটি সূত্ৰ দ্য সেন্টিনেলকে বলেছে যে রাজ্য অতিরিক্ত ১৪৫ কোম্পানি কেন্দ্ৰীয় সশস্ত্ৰ বাহিনী(সিএপিএফ)কেন্দ্ৰের কাছে চেয়েছে। এর মধ্যে ৯০ কোম্পানিকে এনআরসির ডিউটিতে মোতায়েন করা হবে। বাকি ৫৫ কোম্পানিকে মোতায়েন করা হবে রাজ্যের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে।
বর্তমানে ১৬৪ কোম্পানি সিএপিএফ রাজ্যে মজুত রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই এনআরসির সম্পূর্ণ খসড়া প্ৰকাশের সময় যে পরিমাণ সিএপিএফ কে কাজে লাগানো হয়েছিল এবার তার চেয়েও অনেক বেশি রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হচ্ছে। ২০১৮তে এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্ৰকাশের সময় ২০৯ কোম্পানি সিএপিএফ রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল।
২০১৮ তে রাজ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছিল। তাই এবারে রাজ্য সরকার পূর্ণাঙ্গ পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্ৰহণ করছে। গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগের একটি পদস্থ সূত্ৰ এখবর জানিয়েছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এনআরসি-র ডাটা সুরক্ষায় আধারের মতো গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ সুপ্ৰিমকোর্টের
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Assam Police Commandos launched major operation near Assam-Arunachal Pradesh Border