নয়াদিল্লিঃ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে ট্ৰাস্ট গঠনের কথা বুধবার সংসদে ঘোষণা করেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ব্যাপারে ট্ৰাস্ট গঠনের ছাড়পত্ৰ দিয়েছে কেন্দ্ৰীয় সরকার। মন্দির নির্মাণের জন্য গঠিত ট্ৰাস্ট্ৰের নামকরণ করা হয়েছে ‘শ্ৰী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্ৰ’। তিনি বলেন,এই ট্ৰাস্টই অযোধ্যায় বিশাল রামমন্দির নির্মাণের কাজ দেখাশোনা করা ছাড়াও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য ইস্যুগুলিও খতিয়ে দেখবে।
প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,রাম জন্মভূমি ইস্যু নিয়ে গত ৯ নভেম্বর সুপ্ৰিম কোর্টের রায় দানের প্ৰেক্ষিতে বুধবার সকালে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভার এক বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করা হয়। মোদির কথায়,মন্দির নির্মাণে যেকোনও ধরনের সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের পুরো ক্ষমতা থাকবে এই ট্ৰাস্টের হাতে। মন্দির নির্মাণ সম্পর্কিত অন্যান্য ইস্যুগুলির ক্ষেত্ৰে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কর্তৃত্ব থাকবে শ্ৰীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্ৰ ট্ৰাস্টের ওপর-বলেন মোদি।
প্ৰধানমন্ত্ৰী আরও ঘোষণা করেন,অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ৬৭,৭০৩ একর জমি খুব শিগগিরই ট্ৰাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ‘রাম জন্মস্থলী’তে সুবিশাল মন্দির নির্মাণে একটি পরিকল্পনাও প্ৰস্তুত করা হয়েছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,আসুন আমরা সবাই মিলে অযোধ্যায় এই সুবিশাল রামমন্দির নির্মাণে সমর্থনের হাত বাড়াই। মোদির কথা শুনে সরকার পক্ষের সাংসদরা ‘জয় শ্ৰীরাম ধ্বনি দিয়ে বিষয়টিকে স্বাগত জানান।
প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,রাম জন্মভূমির গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তটি তিনি দেশবাসীর সঙ্গে শেয়ার করতে পেরে নিজেকে সুখী অনুভব করছেন। সুপ্ৰিম কোর্টের রায়ের প্ৰেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতির বৈশিষ্ঠ্যের ওপর আলোকপাত করে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,অযোধ্যা মামলার রায়দানের পর দেশের মানুষ চরম ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। আমি দেশবাসীর এধরনের সংযম ও ধৈর্যের প্ৰশংসা না করে পারছি না-বলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ এইচএসএলসি-এএইচএম পরীক্ষায় অসদাচরণের জন্য ছাত্ৰকে বহিষ্কার করা হতে পারে
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Woman set on fire by in-laws in Katigara under Cachar, Rescued after one month