গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)বিরুদ্ধে শ্লোগান দেওয়ার ধারা পাল্টে এবার রংতুলি এবং কলমকে হাতিয়ার করলেন প্ৰতিবাদকারীরা। বুধবার গুয়াহাটির লতাশিল খেলার মাঠে শিল্পী ও কবিরা রং-তুলি দিয়ে ছবি এঁকে এবং কলম দিয়ে কবিতা লিখে ওই আইনের প্ৰতিবাদ জানান। রাজ্যের বিশিষ্ট চিত্ৰকর এবং কবিরা লতাশিল মাঠে জমায়েত হয়ে কাগজ ও ক্যানভাসে তাঁদের সৃজনী শক্তির মাধ্যমে প্ৰতিবাদ জানান আইনটির বিরুদ্ধে। বিশিষ্ট ভাস্কর বীরেন সিংহ মাঠে বসেই শহিদ দীপাঞ্জল দাসের একটি মাটির মূর্তি গড়ে তাঁর প্ৰতিবাদ সাব্যস্ত করেন। খ্যাতনামা চিত্ৰকর পুলক গগৈ ক্যানভাসে রং-তুলির মাধ্যমে ওই আইনের বিরুদ্ধে তাঁর প্ৰতিবাদের ভাষা তুলে ধরেন। আরও এক শিল্পী ছবি এঁকে তাতে শ্লোগান লিখে দেন। গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰাক্তন উপাচার্য অমরজ্যোতি চৌধুরী,ড.নীলিমা ঠাকুরিয়া হক,ড. চয়নিকা শর্মা,পঙ্কজ গোবিন্দ মেধি,গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভাস্কর জ্যোতি বরা এবং অন্যান্যরা ক্যাকে তাক করে কবিতা পাঠ করে শোনান। এই সমাবেশে বক্তব্য রেখে আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য বলেন,‘রাজ্যের মানুষ একটা চমৎকার পদ্ধতিতে ক্যার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাচ্ছেন। কেউ রঙ-তুলি নিয়ে আবার কেউ বা কবিতা লিখে প্ৰতিবাদের ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি উচ্চস্বরে চলছে শ্লোগানও। প্ৰতিটি রংতুলি দিয়ে আঁকা ছবি ক্যা-র বিরুদ্ধে একটা শক্তিশালী বার্তাকেই তুলে ধরেছে। একইভাবে কবিদের কবিতার ভাষায়ও ফুটে উঠেছে ক্যার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্ৰতিবাদের রূপরেখাও’।
ভট্টাচার্য আরও বলেন,‘এসএকেপি(সারা অসম কর্মচারী পরিষদ)আগামি ৩১ ডিসেম্বর অফিসে কাজ করার সময় কালো ব্যাজ পরে ক্যার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাবে।
আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেন,‘এখন ক্যার বিরুদ্ধে সোশিয়েল মিডিয়ায় লড়াই শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মার প্ৰস্তাব অনুসরণ করা কারো উচিত হবে না। এধরনের প্ৰস্তাব অনুসরণ করলে প্ৰতিবাদের কলেবর অবদমিত হবে। ভারতে এধরনের প্ৰতিবাদ কখনো দেখা যায়নি। এধরনের প্ৰতিবাদ শুধু ইউরোপেই দেখা গিয়েছিল’। বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রত্ন ওজা শহিদের শ্ৰদ্ধা জানিয়ে বলেন,‘আমি আশা করছি ক্যার বিরুদ্ধে আখেরে আমাদেরই জয় হবে’।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কাগজ কল নিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের কমিশনার ও সচিবকে নোটিশ ইস্যুর নির্দেশ এএইচআরসি-র
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Christmas celebrated in Kokrajhar