গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকে(এনআরসি)বিদেশিমুক্ত ভারতীয় নাগরিকদের একটা আইনি দস্তাবেজ বলে অভিহিত করেন প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত। তিনি বলেন,অসমের এই এনআরসি সারা দেশের কাছে মডেল হতে পারে। উল্লেখ্য,ঐতিহাসিক অসম চুক্তির একজন স্বাক্ষরকারী স্বয়ং মহন্ত।
এনআরসি এবং এর ঐতিহাসিক প্ৰেক্ষাপটের প্ৰতি আলোকপাত করে মঙ্গলবার মহন্ত এখানে বলেন,১৯৫১ সালে রাজ্যে যে এনআরসি হয়েছিল তার তিনটি কপি ছিল। জেলা ও পুলিশ প্ৰশাসনের হাতে ছিল একটা করে কপি এবং কংগ্ৰেস ও জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের হাতে ছিল একটা কপি। তবে কয়েকটি জেলায় ওই এনআরসি কপি খোয়া গেছে। যাই হোক ২০১৮-র ৩০ জুলাই অসমের কাছে একটা ঐতিহাসিক দিন।
সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)১৯৮০ সালে ৫১ সালের এনআরসি নবায়নের দাবিতে কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে একটি চিঠি দিয়ে নাগরিক পঞ্জি নবায়নের বীজ বপন করেছিল। ‘১৯৮৬ সালে অগপ রাজ্যের ক্ষমতায় আসে। আমরা এনআরসি নবায়নের চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু রাজ্যের কিছু উপজাতি সংগঠনের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাছাড়া কেন্দ্ৰও তেমন আগ্ৰহ দেখায়নি’-বলেন মহন্ত। এনআরসি নবায়নের জন্য মহন্ত আসু,রাজ্য সরকার,সরকারি কর্মী,কেন্দ্ৰ ও আসাম পাবলিক ওয়র্কসের অসামান্য অবদানের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।