গুয়াহাটিঃ রাজ্যে এনআরসি সেবাকেন্দ্ৰে একজন বিদেশি কাজ করার খবর প্ৰকাশ্যে এসেছে,যিনি ইতিমধ্যেই বিদেশি ঘোষিত হয়েছেন। ঘটনার প্ৰেক্ষিতে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নবায়ন প্ৰক্ৰিয়ায় নিযুক্তি বিদেশি চিহ্নিত করতে সুপ্ৰিমকোর্টকে বিশেষ তদারকি করার আর্জি জানিয়েছে। এনআরসি সেবাকেন্দ্ৰে কর্মরত একজন সরকারি স্কুল শিক্ষক বিদেশি ট্ৰাইবুনাল কর্তৃক ইতিমধ্যেই বিদেশি ঘোষিত হওয়ায় সর্বোচ্চ ছাত্ৰ সংগঠনের এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ছাত্ৰ সংগঠন বিষয়টি নিয়ে অনুপুঙ্খ তদন্ত করারও দাবি জানিয়েছে।
আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ সেন্টিনেলকে বলেন,এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু একজন ঘোষিত বিদেশি স্পর্শকাতর এই নথির নবায়ন প্ৰক্ৰিয়ায় কাজ করাটা। এনআরসি নবায়ন প্ৰক্ৰিয়ার কাজে এধরনের আরও কিছু লোক জড়িত থাকার সন্দেহ হেলায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না-বলেন ছাত্ৰ নেতা। ‘এনআরসি নবায়নের কাজে এভাবে বিদেশি নাগরিক জড়িয়ে থাকার নেপথ্যে যে রহস্য রয়েছে তার সমাধান সুত্ৰ খুঁজতে হবে। রহস্যের মূলোৎপাটন করতে নিরপেক্ষ ও অনুপুঙ্খ তদন্ত প্ৰয়োজন’। ‘এনআরসির কাজে এজাতীয় ব্যক্তিকে যিনি নিয়োগ করেছেন তার মুখোশও খুলে দিতে হবে’।
গগৈ আরও বলেন,ন্যস্ত স্বার্থান্বেষীরা পুরো এনআরসি প্ৰক্ৰিয়া পথভ্ৰষ্ট করতে চক্ৰান্ত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখানে উল্লেখ করা প্ৰয়োজন যে মহম্মদ খাইরুল ইসলাম নামের একজন সরকারি স্কুল শিক্ষক মরিগাঁও জেলার মিকিরভেটায় এনআরসি সেবাকেন্দ্ৰে কাজ করছেন। বিদেশি ট্ৰাইবুনাল ইসলামকে ২০১৬ সালে বিদেশি ঘোষণা করেছে। পরে ইসলাম গৌহাটি হাইকোর্টে বিদেশি ট্ৰাইবুনালের ঘোষণার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। হাইকোর্ট অবশ্য এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও রায় দেয়নি। এদিকে মরিগাঁও প্ৰশাসন গত মঙ্গলবার ইসলামকে এনআরসির কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।