এপিএসসি কেলেংকারির অন্যতম অভিযুক্ত রাকেশ গুপ্তার আত্মসমর্পণ

এপিএসসি কেলেংকারির অন্যতম অভিযুক্ত রাকেশ গুপ্তার আত্মসমর্পণ
Published on

গুয়াহাটিঃ এপিএসসি কেলেংকারি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত রাকেশ গুপ্তা দেড় বছরের বেশি সময় ফেরার থাকার পর বৃহস্পতিবার এখানে বিশেষ আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

এপিএসসি-র প্ৰাক্তন চেয়ারম্যান রাকেশ পালকে ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের একটি তদন্তকারী দল যখন বিভিন্ন এসিএস ও এপিএস কর্মকর্তাদের গ্ৰেপ্তার অভি্যান চালাচ্ছিল ওই সময় থেকেই গুপ্তা পলাতক ছিলেন। পুলিশ ২০১৭ থেকে ২০১৮-র মধ্যে ওই সব গ্যাজেটেড অফিসারদের গ্ৰেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণকারী গুপ্তাকে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

এই কেলেংকারিতে এর আগে যাদের গ্ৰেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল তাদের অনেকেই জামিন পেয়েছেন। রাজ্য সরকার অভিযুক্ত সব কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে এবং বর্তমানে এরা বিচারাধীন রয়েছেন। গুপ্তা আত্মসমর্পণ করায় এই মামলার আরও কিছু তথ্য প্ৰকাশ্যে আসবে বলে আশা করা হছে। টাকা দিয়ে চাকরি কেনা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য গুপ্তা ফাঁস করতে পারেন-এমনটা আঁচ করা হচ্ছে। ডিব্ৰুগড় পুলিশ টাকা দিয়ে চাকরি কেনা সংক্ৰান্ত মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। ওই সময় চাকরি প্ৰার্থী একজন মহিলাকে নবকান্ত পাটির নামে একজন ইঞ্জিনিয়ার এপিএসসির মাধ্যমে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্ৰস্তাব দিয়েছিলেন,যদি তিনি(মহিলাটি)১০ লক্ষ টাকা দিতে সম্মত হন। এই ঘ্টনার আঁচ পেয়ে পুলিশ আগেভাগেই ফাঁদ পেতে রাখে। অনসুমিতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় পুলিশ হাতেনাতে পাটিরকে পাকড়াও করে এবং পাটিরের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এপিএসসি-র তদানীন্তন চেয়ারম্যান রাকেশ পালকে ২০১৬-র ৪ নভেম্বর গ্ৰেপ্তার করা হয়।

এদিকে গুপ্তা আত্মসমর্পণের পর জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেয়। কোর্টের নির্দেশে গুপ্তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com