রাজ্যে তিন দফার নির্বাচনে ভোটের হার ৮১.৫২ শতাংশ

রাজ্যে তিন দফার নির্বাচনে ভোটের হার ৮১.৫২ শতাংশ
Published on

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত তিন দফার লোকসভা নির্বাচনে এবার ৮১.৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে,যা সর্বকালীন রেকর্ড। রাজ্যে নথিভুক্ত ভোটার সংখ্যা হলো ২,১৯,৯১,১১২ জন। রাজ্যে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন ১১,১৮ ও ২৩ মে তিন দফায় অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০.২১ শতাংশ,যা ওই সময় রেকর্ড হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল। ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচনের সময় রাজ্যে ভোটার ছিল ১,৮৮,০৪,৪২১ জন। এরআগে ২০০৯-এর সাধারণ নির্বাচনে ভোট দানের হার ছিল ৬৯.৫৮ শতাংশ। ওই সময় রাজ্যে মোট ভোটার ছিলেন ১,৭৪,৪৩,৬১৭ জন। এদিকে ২০১৬-র রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৮৪.৭২ শতাংশ, যাকে রেকর্ডই বলা যায়। ওই সময় রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১,৯৯,৪৭,৬৯০ জন।

রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত তৃতীয় দফার সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ৯০.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে ধুবড়ি সংসদীয় কেন্দ্ৰে। এরপরই বরপেটার স্থান। বরপেটা কেন্দ্ৰে ভোট দিয়েছেন ৮৬.৬০ শতাংশ ভোটার। কোকরাঝাড়ে ৮৩.১৬ শতাংশ এবং গুয়াহাটিতে ৮০.৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ধুবড়ি লোকসভা কেন্দ্ৰের অন্তর্গত তিনটি বিধানসভা ক্ষেত্ৰে এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোট পড়ে। এরমধ্যে জলেশ্বরে ৯৩.৮৬ শতাংশ দক্ষিণ শালমারায় ৯২.৩৭ শতাংশ এবং গোলকগঞ্জে ৯১.৭৩ শতাংশ ভোট পড়ার রেকর্ড নথিভুক্ত হয়েছে।

সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে লখিমপুর কেন্দ্ৰের অধীন ধেমাজি বিধানসভা ক্ষেত্ৰে। এই কেন্দ্ৰে ভোট পড়ে ৭০.১৬ শতাংশ। রাজ্যে ১১ এপ্ৰিল অনুষ্ঠিত প্ৰথম দফার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৭৮.২৭ শতাংশ। প্ৰথম দফায় কলিয়াবর কেন্দ্ৰে সর্বোচ্চ ৮২.০৯ শতাংশ ভোট পড়ার রেকর্ড নথিভুক্ত হয়েছে। তেজপুর কেন্দ্ৰে ৭৯.১৪ শতাংশ,যোরহাটে ৭৭.৪৯ শতাংশ,ডিব্ৰুগড়ে ৭৭.২৬ শতাংশ এবং লখিমপুরে ৭৫.০৫ শতাংশ ভোট পড়ে। এই পাঁচ লোকসভা কেন্দ্ৰের ভোটার সংখ্যা ৭৬,০৩,৪৫৮ জন।

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮১.২০ শতাংশ। এরমধ্যে মঙ্গলদৈ নথিভুক্ত হয় ৮৩.৬০ শতাংশ ভোট,যা সর্বোচ্চ। নগাঁও ৮৩.২৪,শিলচর ৭৯.৪০,করিমগঞ্জ ৭৯.০৮ এবং স্বশাসিত জেলা ডিফুতে ৭৭.৪৭ শতাংশ ভোট পড়ে। এই পাঁচ লোকসভা কেন্দ্ৰে মোট ভোটার ছিলেন ৬৯,১০,৫৯২ জন।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com