গুয়াহাটিঃ উপর্যুপরি বন্যার থাবা থেকে বানভাসীদের স্বস্তি দিতে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে উঁচু কাঠামো নির্মাণের মতো উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্ৰহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্ৰবার জনতাভবনে নিজের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে দ্বিতীয় দফার বন্যায় আক্ৰান্ত ছয় জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,ফি বছর দফায় দফায় আসা বন্যার কবল থেকে দুর্গতদের পরিত্ৰাণে উঁচু কাঠামো নির্মাণ করা প্ৰয়োজন। বন্যাক্ৰান্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উঁচু কাঠামো নির্মাণে রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এগিয়ে আসা উচিত। বন্যাপ্ৰবণ অঞ্চলে উঁচু বাড়ি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটা মডেল এস্টিমেট প্ৰস্তুত করা প্ৰয়োজন। উঁচু বাড়িগুলি এমনভাবে নির্মাণ করা ঠিক হবে যাতে সেগুলি বন্যাক্লিষ্টদের আশ্ৰয় দেওয়া ছাড়াও বহুমুখী কাজে ব্যবহার করা যায়। বন্যা যখন থাকবে না সে সময় সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সম্প্ৰদায় সম্পর্কিত কার্যকলাপে বাড়িগুলি ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করেন সোনোয়াল। গ্ৰামাঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশে বাঁধগুলিকে সড়ক তথা বাঁধে রূপান্তরের জন্য একটা মডেল এস্টিমেট প্ৰস্তুত করতেও বিভাগটিকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।
উল্লেখ্য,গত ১৩ জুন থেকে ৩ আগস্টের মধ্যে বন্যা দুদুবার থাবা বসালো। বন্যায় ১৬৩টি গ্ৰামের ১০.৯৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন। সোনোয়াল ক্ষতিগ্ৰস্ত জেলায় দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্ৰাণ সাহায্য জেলা প্ৰশাসন যাতে তৎপর হয় রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে তা সুনিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন। রাজ্যে সর্বমোট ৩৮৮টি ত্ৰাণ শিবির খোলা ছাড়াও ত্ৰাণ সামগ্ৰী বণ্টন বাবদ ৪৪০টি ত্ৰাণ বিতরণ কেন্দ্ৰ স্থাপন করা হয়েছে।