ন্যাশনাল

পাঁচতারা হোটেলে দুটো কলার দর ৪৪২.৫০ টাকা চুকোলেন অভিনেতা রাহুল বসু

Sentinel Digital Desk

দেশে বিলাস বহুল পাঁচতারা হোটেলগুলোর একচ্ছত্ৰ আধিপত্য এবং বিশেষ করে যেকোনও জিনিসের জন্য গ্ৰাহকদের কাছে চড়া দর চাওয়া কারো কাছে অজ্ঞাত নয়। দুটো কলার জন্য পাঁচতারা হোটেল যে বেলাগাম দর চাপাতে পারে তা শোনা মাত্ৰই যেকোনও লোকের চোখ কপালে উঠবে। বলিউড অভিনেতা রাহুল বসু ওই হোটেলের অবিশ্বাস্য দর চাওয়ার বিষয়টি প্ৰকাশ্যে আনলে তা মানুষের নজর কেড়ে নেয়। অভিনেতা রাহুল সম্প্ৰতি চণ্ডীগড়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে থাকার সময় মাত্ৰ দুটো কলার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে অস্বাভাবিক মূল্য চেয়ে বসে। অভিনেতা সময়াভাবে ইস্যুটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের নজরে এনে অযথা সময় নষ্ট করতে চাননি।

রাহুল বলেন,চণ্ডীগড়ে থাকা পাঁচতারা ওই হোটেলের নাম ‘জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট’ হোটেলের জিম থেকে তিনি দুটো কলা কিনে আনেন। ওই দুই কলার জন্য তাঁকে গচ্চা দিতে হয় ৪৪২.৫০ টাকা। কলার এই দামের সঙ্গে কোনও যুক্তিই খাটে না। ওই দুই কলার ছবি শেয়ার করে রাহুল ঘটনা সম্পর্কে এক টুইটে লিখেছেন ‘দুটো কলার এমন চড়া দর কে বিশ্বাস করবে। কে বলেছে ফল আপনার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ক্ষতিকারক নয়’।

শ্যুটিঙের জন্য ওই হোটেলে উঠেছিলেন রাহুল। অভিনেতা আরও বলেন,ওই কলার বিলের সঙ্গে জিএসটিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কৌতূহলের বিষয়টি হলো,হোটেল কর্তৃপক্ষ গ্ৰাহকদের কলা খাওয়াতে একটা আকর্ষণীয় নাম ব্যবহার করছে। হোটেল স্টাফ কলাগুলোকেও ‘ফ্ৰুট প্ল্যাটার’-এর তালিকাভুক্ত করে এমন লাগাম ছাড়া দর নিংড়ে নিচ্ছে গ্ৰাহকদের কাছ থেকে। পাঁচতারা হোটেল বলে কথা। তাই এমন হোটেলে তো আর কোনও জিনিসের দর কষাকষি সম্ভব নয়। অগত্যা কোনওরকম বিতর্কে না গিয়ে রাহুল কলার দর ভালয় ভালয় চুকিয়ে দিয়ে বলেন,‘কলা আমার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভাল’।

ফেসবুক ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তার টুইটে উল্লেখ করেছেন ‘আমরা যখন মাল্টিপ্লেক্সে পপকর্ন কিনি তখন আমাদেরও একই অনুভব হয়’। হাতের মুঠায় ধরে এমন হাতে গোনা কয়েকটি পপ কর্নের অযৌক্তিক দর হাকায় মাল্টিপ্লেক্সগুলো। এটা নিশ্চিতভাবে আরও একটা ইস্যু। পপকর্নের ওই দর চুকোতে সিনেমা যাত্ৰীদের হামেশাই মুখ ভারী হতে দেখা যায়।

যেকোনও সামান্য জিনিসের এমন অযৌক্তিক দর মধ্যবিত্ত শ্ৰেণির নাগালের বাইরে। তাই অভিজাত হোটেলগুলির যুক্তিপূর্ণ দর নেওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।

আরও কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী টুইট করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের গ্ৰাহকদের প্ৰতারণা করছে। অন্য এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন,এটা শুধু কলা নয়,এটাকে উল্লু ব্যানানা বলা যেতে পারে। গ্ৰাহককে বোকা বানানোই এর উদ্দেশ্য।