গুয়াহাটিঃ অসমের কংগ্ৰেস নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং মঙ্গলবার কংগ্ৰেস ও রাজ্যসভার সদস্য পদে ইস্তফা দিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টিতে(বিজেপি)যোগ দেওয়ার পথ প্ৰশস্ত করতেই তাঁর এই পদত্যাগ। উল্লেখ করা যেতে পারে যে সঞ্জয় সিং কংগ্ৰেসে যোগ দেওয়ার আগে বিজেপি-র সদস্য ছিলেন এবং আমেথির একটি রাজকীয় পরিবার থেকে উঠে আসা সঞ্জয় বর্তমানে অসমের রাজ্যসভা সাংসদ ছিলেন। সংসদের উচ্চ সদনে সঞ্জয় সিঙের পদত্যাগ পত্ৰ গ্ৰহণ করেছেন সভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
কংগ্ৰেস ত্যাগ এবং মূল শিকড়ে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সিং সাংবাদিকদের বলেন,কংগ্ৰেসে যোগাযোগের প্ৰচণ্ড ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং দলে নেতৃত্ব বলতে কিছুই নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কংগ্ৰেস তার অতীত নিয়ে কোনও ক্ৰমে টিকে আছে এবং দলের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই এবং সচেতনতার অভাবও স্পষ্ট। ‘আমি মনে করি আজকের ভারতের দিকে তাকালে দেখা যায়,প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘সবকা সাথ,সবকা বিকাশ’-এর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। তিনি সবার সঙ্গে কথা বলছেন,সবাইকে নিয়ে চলছেন। তাই গোটা দেশ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। আর এজন্যই আমিও ওই পথের দিশারি’।
কংগ্ৰেস ছাড়ার সময় সিং ওই দলের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। ‘কংগ্ৰেসে কথা বলা ও নেতৃত্ব এই দুইয়েরই অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জন্য এই দল এখন আর কিছু করে দেখানোর ক্ষমতা রাখে না। আর সে জন্যই তিনি কংগ্ৰেস ও সেই সঙ্গে রাজ্যসভার সদস্য পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত করেছেন’। সিঙের স্ত্ৰী অনিতা সিংও কংগ্ৰেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
সিং আরও জানিয়েছেন বুধবার তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। যেহেতু আগে তিনি বিজেপিতেই ছিলেন,সেই হেতু এই দলের সঙ্গে মানিয়ে চলতে তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না।
কংগ্ৰেসে থাকাকালে সঞ্জয় সিং সুলতানপুর কেন্দ্ৰে বিজেপির হেভিওয়েট প্ৰার্থী মানেকা গান্ধীর বিরুদ্ধে লোকসভার নির্বাচনে লড়েছিলেন। ওই নির্বাচনে গান্ধীর কাছে তাঁকে হার মানতে হয়েছিল।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসমের দুটি কাগজ কল পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে বিজেপি সাংসদদের আশ্বাস কেন্দ্ৰের