নয়াদিল্লিঃ ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে স্বাধীনতা দিবসে মর্যাদা সম্পন্ন বীরচক্ৰ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে। বুধবার একথা ঘোষণা করা হয়েছে। এবছর ফেব্ৰুয়ারিতে ভারত পড়শি দেশ পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্ৰাসী সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে বিমান হানা চালানোর সময় পাকিস্তান তাঁকে আটকে রেখেছিল। পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েও অভিনন্দন যে অদম্য সাহস ও উৎসাহ দেখিয়েছেন তার জন্য তিনি সবার জনপ্ৰিয় হয়ে ওঠেন। লোকের মুখে মুখে চর্চিত হতে দেখা গেছে তাঁর নাম।
পাক বিমান বাহিনীর ওপর ভারতীয় বায়ুসেনার অপারেশনের সময় অভিনন্দন পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ লড়াকু বিমান গুলি করে নামিয়েছিলেন। পাকিস্তান থেকে সশরীরে দেশে ফিরে আসার পর অভিনন্দন বিশ্ৰামে ছিলেন লড়াইয়ে আঘাত পাওয়ার জন্য। তবে এখন সমস্ত মেডিক্যাল টেস্টে তিনি উতরে গেছেন এবং আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই তিনি বিমান উড়ানের কাজ ফের শুরু করবেন।
উল্লেখ্য,বালাকোটে এয়ার স্ট্ৰাইকের ঠিক একদিন পরে অর্থাৎ গত ২৭ ফেব্ৰুয়ারি উইং কমান্ডার অভিনন্দন পাক বায়ুসেনার ফাইটার জেটের বিরুদ্ধে আক্ৰমণ চালিয়েছিলেন। ওই সময় তাঁর মিগ-২১ বিমানটি ভেঙে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে পড়ে। অভিনন্দন প্যারাসুটে অবতরণ করলেও দুর্ভাগ্যবশত তিনি পাক ভূমিতে গিয়ে নামেন। ওই সময় পাক সেনা তাঁকে বন্দি করে। ১ মার্চ অভিনন্দনকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। ওয়াঘা আটারি সীমান্তে তাঁকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিনন্দন পাকিস্তানে বন্দি থাকাকালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এক যুদ্ধংদেহী পরিবেশের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে পাক প্ৰধানমন্ত্ৰী ইমরান খান উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
এরপর সাহসী অভিনন্দন দেশে ফেরার পর ভারতে হিরোর সম্মান পান। সংবাদ শিরোনামে চলে আসে অভিনন্দনের নাম। বীর চক্ৰ হচ্ছে যুদ্ধের সময় সাহসিকতা প্ৰদর্শনের ক্ষেত্ৰে তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান এবং অভিনন্দন সেই সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বালাকোটে জৈশ-এর ঘাঁটিতে বিমান হানার জন্য বায়ু সেনার পাঁচজন পাইলট সাহসিকতার পুরস্কার পাচ্ছেন
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Chief Minister Sarbananda Sonowal hoisted the National Flag at Khanapara Veterinary Field