ন্যাশনাল

আস্থাভোটে উতরে গেলো কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার

Sentinel Digital Desk

নয়াদিল্লিঃ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্ৰী বি এস ইয়েদুরাপ্পা-র নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার সোমবার প্ৰত্যাশা মতোই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্ৰমাণ করলো। ইয়েদুরাপ্পা ২৯ জুলাই বিধান সৌধে আস্থা ভোট চাওয়ার কথা বলেছিলেন। কথার খেলাপ না করে সোমবার তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্ৰমাণে বিধান সৌধে আস্থা ভোট চান এবং সহজেই উতরে যান গরিষ্ঠতা প্ৰমাণের পরীক্ষায়। রাজ্যে গত প্ৰায় একমাস ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছিল। বর্ষীয়ান নেতা ইয়েদুরাপ্পা আস্থাভোটে উতরে যাওয়ায় রাজ্যে চলা বিবদমান পরিস্থিতিরও যবনিকা পড়লো। গতকাল ৭৬ বছর বয়সী ইয়েদুরাপ্পা বিধায়সভায় আস্থা প্ৰস্তাব পেশ করার পর ধ্বনি ভোটে তা পাস হয়ে যায়।

ওদিকে আস্থা ভোটের পরপরই বিধানসভার অধ্যক্ষ কে আর রমেশ তাঁর পদে ইস্তফা দেন। তবে এর আগে অধ্যক্ষ রমেশ কংগ্ৰেস-জনতা দল(এস)এর ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করে দেন দলত্যাগ নিরোধ আইনের হাত ধরে। ফলে ২২৫ সদস্যের কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা হ্ৰাস পেয়ে ২০৮ জনে দাঁড়ায়। ইয়েদুরাপ্পার গরিষ্ঠতা প্ৰমাণের জন্য ম্যাজিক ফিগার ছিল ১০৫। বিজেপি-র একার দখলে ছিল এই ১০৫টি আসন। একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন পেয়ে যায় বিজেপি। কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন কংগ্ৰেস-জনতাদল(এস)সরকারের পতনের পর অবশেষে কর্নাটক চলে যায় গেরুয়া শিবিরের দখলে।

গত শুক্ৰবার ইয়েদুরাপ্পা চতুর্থবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী হিসেবে শপথ নেন। এর আগেও তিনি তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী হয়েছেন। কিন্তু কোনওবারই পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল এবং সেই সুবাদে ইয়েদুরাপ্পা সরকার গড়লেও ওই সরকার টিকেছিল মাত্ৰ তিন দিন। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্ৰমাণ করতে না পারায় তাঁকে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল। ওই সময় কংগ্ৰেসের ৭৮ বিধায়ক এবং জনতা দল(এস)এর ৩৭ জন বিধায়ক হাত মিলিয়ে কর্নাটকে জোট সরকার গড়ে এইচ ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বে। কিন্তু ১৪ মাস ক্ষমতায় থাকার পর গত ২৩ জুলাই আস্থাভোটে কুমারস্বামী সরকারেরও পতন ঘটে।

তবে ইয়েদুরাপ্পা কর্নাটকের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি ক্ষমতায় আসায় এখন রাজ্যে উন্নয়নের অধ্যায় শুরু হবে। ওদিকে কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ কে আর রমেশ ব্যক্তিগত কারণে তাঁর পদে ইস্তফা দিয়েছেন। বিদায়ের লগ্নে রমেশ ১৪ মাসের কার্যকালে কোনও ভুলত্ৰুটি হয়ে থাকলে তার জন্য রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।