ন্যাশনাল

কেরলের কট্টুরে দেশের প্ৰথম হাতি পুনর্বাসন কেন্দ্ৰ গড়ে উঠছে

Sentinel Digital Desk

তিরুবনন্তপুরমঃ কেরলের কট্টুর নামে একটি ইকো-ট্যুরিজম গ্ৰামে এই প্ৰথম ভারতে হাতি পুনর্বাসন কেন্দ্ৰ স্থাপন করা হলো। শ্ৰীলংকার পিন্নাওয়ালা এলিফেণ্ট অরফেনেজ-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে কেরলের কট্টুরে হাতি পুনর্বাসন কেন্দ্ৰটি স্থাপনের কথা বিবেচনা করা হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের খুবই কাছেই কট্টুর। এই প্ৰকল্পের জন্য প্ৰাথমিক পর্যায়ে ১০৫ কোটি টাকা তহবিল মঞ্জুর করা হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্ৰী পিনারাই বিজয়ন গত মাসে প্ৰকল্পটি চালু করেন।

হাতির সার্বিক দেখভালের জন্য একটি হস্তী পুনর্বাসন কেন্দ্ৰ স্থাপনের পূর্বাভাস দিয়েছিল কেন্দ্ৰীয় সরকার। এই কেন্দ্ৰে হাতির মিউজিয়াম,মাহুত প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ,সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল,একটি অবসর কাটানোর গৃহ এবং প্ৰাণীটির জন্য ক্ৰিমেটরিয়াম নির্মাণ ইত্যাদি প্ৰকল্পটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলত অনাথ,আহত এবং বৃদ্ধ হাতিদের সেবার জন্যই পুনর্বাসন কেন্দ্ৰটি গড়ে তোলা হবে।

এপর্যন্ত পুনর্বাসন কেন্দ্ৰে মাত্ৰ ১৫টি হাতি রয়েছে এবং কেন্দ্ৰটির পরিকাঠামো একবার গড়ে উঠলে হাতির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে-এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

তিরুবনন্তপুরম ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন ওয়াই এম সাজি কুমার জানিয়েছেন,অনাথ এবং পরিত্যক্ত হাতিগুলির সেবা এবং হাতির বিষয়ে মানুষ যাতে আরও জানতে পারেন তার ব্যবস্থা থাকবে কেন্দ্ৰে। হাতির আচরণ,জীবন ধারণ পদ্ধতি খুব কাছে থেকে বুঝতে পারবেন মানুষ।

এবিষয়ে হস্তী বিশেষজ্ঞ পিএস এসা বলেন,এই বিষয়টি নিয়ে তারা অনেকদিন থেকে চিন্তাচর্চা করছিলেন। কেন্দ্ৰটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে বন্যজীবন নিয়ে গবেষণাকারী এবং ভেটেরিনারির ছাত্ৰরা যারপর নেই উপকৃত হবে। এই কেন্দ্ৰে পোষা হাতি রাখারও পরিকল্পনা রয়েছে। হাতির গত আদমসুমারি অনু্যায়ী রাজ্যে ৫০৭টি পোষা হাতি রয়েছে। গুরুভায়ুর শহরের শুধু শ্ৰীকৃষ্ণ মন্দিরে ৫৯ হাতি রয়েছে।

৬৫ হেক্টরের বেশি প্ৰাকৃতিক পরিবেশে কেন্দ্ৰটি গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে এলিফ্যাণ্ট সাফারি এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে অন্যান্য ব্যবস্থাও থাকছে।

মাহুতরা এখানে হাতি পালনে প্ৰশিক্ষণ নিতে পারবেন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোন অথরাইজড মাহুত প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ নেই তাই এটিই হবে দেশের প্ৰথম মাহুত প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ।