ন্যাশনাল

এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজারের বেশি পদ খালিঃ পোখরিয়াল

Sentinel Digital Desk

নয়াদিল্লিঃ এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১,০৬৯টি পদ খালি পড়ে আছে। মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্ৰী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ মঙ্গলবার লোকসভায় এক লিখিত জবাবে একথা জানান। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী বলেন,এলাহাবাদ কেন্দ্ৰীয় বিশ্ববিদ্যালয়,প্ৰয়াগরাজে যথাক্ৰমে ৫৫০ ও ৫১৯টি শিক্ষক এবং নন টিচিং পদ ফাঁকা পড়ে আছে। তিনি আরও বলেন,খালি পড়ে থাকা সব শিক্ষকের পদ এবং ৩২টি অশিক্ষক পদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল।

এরআগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি)একটি নতুন নির্দেশিকাও জারি করেছিল। ওই নির্দেশিকায় সব উচ্চ শিক্ষার প্ৰতিষ্ঠানকে খালি পদগুলি ছয় মাসের মধ্যে পূরণ করতে বলা হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজগুলিতে নতুন ফ্যাকাল্টি নিয়োগের জন্য ইউজিসি পুরোপুরি প্ৰস্তুতিও নিয়েছিল। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ফ্যাকাল্টি নিয়োগে বাছাই প্ৰক্ৰিয়া শুরু করার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছিল কমিশন। এব্যাপারে গত ৪ জুন থেকে পত্ৰযোগে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিও ইস্যু করা হয়েছিল।

ছাত্ৰ-শিক্ষক অনুপাত জুতসই রাখতে ইউজিসি অতিরিক্ত পোস্টও অনুমোদন করেছিল। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় অথবা যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিভার্সিটি অফ এলাহাবাদ বলা হয়ে থাকে। এটি এলাহাবাদ শহরে শিক্ষার হাব হিসেবেই পরিচিত। প্ৰকৃতপক্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয় গোটা উত্তর প্ৰদেশের একটা সেরা শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান। ১৮৮৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্ৰাচীনতম চতুর্থ আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে উন্নীত হয়। তদানীন্তন উত্তর পশ্চিম প্ৰদেশের লেফটেনাণ্ট গভর্নর স্যার উইলিয়াম মুইর-ই প্ৰথম ১৮৭৬ সালে এলাহাবাদে একটি কেন্দ্ৰীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছিলেন। এরই ফলশ্ৰুতিতে প্ৰাথমিক পর্যায়ে মুইর সেণ্ট্ৰাল কলেজ প্ৰতিষ্ঠিত হয় এবং পরে তা বর্তমান এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ পরিগ্ৰহ করে।

এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্ৰাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়ে থাকে। ২০০৫ সালের ২৪ জুন এটি কেন্দ্ৰীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে,সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় এলাহাবাদ আইন পাসের মাধ্যমে।