ন্যাশনাল

লোকসভা ভোটে হারের দায় মাথা পেতে নিয়ে কংগ্ৰেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিলেন রাহুল গান্ধী

Sentinel Digital Desk

নয়াদিল্লিঃ অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার ইতি টানলেন কংগ্ৰেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ভারতীয় জাতীয় কংগ্ৰেসের প্ৰধান রাহুল গান্ধী বুধবার সরকারিভাবে সভাপতি পদে তাঁর ইস্তফাপত্ৰ দাখিল করলেন। লোকসভা নির্বাচনে দলের দুর্বল পারফরম্যান্সের কথাও ইস্তফাপত্ৰে উল্লেখ করেছেন তিনি। গান্ধী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলেও ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি শেয়ার করেছেন।

পদত্যাগ পত্ৰ দাখিল করার সময় বিদায়ী কংগ্ৰেস সভাপতি আরও উল্লেখ করেন ভারতীয় জনতা পার্টি ভারত গড়ার যে ধারণা পোষণ করছে তার বিরোধী তিনি। ওই ধারণা থেকে তিনি দূরে থাকতে চান। নিজেকে ‘কংগ্ৰেসের একজন অনুগত বিশ্বস্ত সৈনিক’ এবং ‘ভারত মাতার একজন নিষ্ঠাবান সন্তান অভিহিত করে রাহুল বলেন,তিনি অবশ্যই দলের সঙ্গে থাকবেন এবং শেষ নিঃশ্বাস ফেলা অবধি দেশকে রক্ষা করে যাবেন।

রাহুল ইস্তফা পত্ৰে আরও লিখেছেন,‘এই সময়টা আমার খুবই সম্মানের কংগ্ৰেস দলকে সেবা করার জন্য,যার মূল্যবোধ ও আদর্শ আমাদের এই সুন্দর দেশের জীবনী শক্তিকে উজ্জীবিত করেছে। আমি আমার দেশ ও সংগঠনের কাছে চির কৃতজ্ঞ,যারা আমাকে এমন ভালবাসা দিয়েছেন।

রাহুল আরও উল্লেখ করেন,‘কংগ্ৰেস সভাপতি হিসেবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির জন্য আমিই দায়ী। দলের বিশ্বস্ততা ও ভবিষ্যৎ উন্নতির পথও যথেষ্ট জটিলতার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। আর কংগ্ৰেস সভাপতি হিসেবে আমার পদত্যাগের এটাই কারণ’-বলেন রাহুল।

দলের সভাপতি পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন ঠিকই তবে তিনি পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান। শিগগিরই কোনও যোগ্য ব্যক্তিকে দল সভাপতি নির্বাচিত হবে।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্ৰেস ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্ৰশাসিত অঞ্চলে একটিও আসন লাভ করতে সমর্থ হয়নি। দলের এই শোচনীয় পরাজয়ের পর দলে একটা বিপ্লব আনার প্ৰয়োজন রয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং নির্বাচনে দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্যই রাহুল সভাপতির পদ ছেড়েছেন বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

গান্ধী আরও বলেছেন,পরবর্তী দল সভাপতি বাছাই পর্বেও তিনি অংশ নিচ্ছেন না। তিনি তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার জন্য কংগ্ৰেস নেতাদের বলেছেন বলে জানান।

এরআগে মধ্যপ্ৰদেশ,রাজস্থান,পঞ্জাব,ছত্তিশগড় ও পডুচেরি এই পাঁচ কংগ্ৰেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰীরা সোমবার রাহুল গান্ধীকে সভাপতির পদে বহাল থাকার জন্য রাজি করাতে যারপরনেই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রাহুল কারো কথায় কর্ণপাত না করে সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন।