ন্যাশনাল

বৈষম্য উড়িয়ে দিয়ে নৌ বাহিনীতে মহিলাদের জন্য স্থায়ী কমিশন মঞ্জুর সুপ্ৰিম কোর্টের

Sentinel Digital Desk

নয়াদিল্লিঃ ‘কর্মরত মহিলাদের বঞ্চিত করা সোজা কথায় বৈষম্যমূলক’-নৌ বাহিনীতে মহিলাদের জন্য স্থায়ী কমিশন মঞ্জুর করার সময় সুপ্ৰিম কোর্টের একটি বেঞ্চ একথা বলেছে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্ৰচূড়-এর নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চ বলেছে,নৌ বাহিনীতে মহিলাদের প্ৰাপ্য পোস্ট দিতে অস্বীকার করা হলে সেটা বৈষম্যমূলকই হবে। তাছাড়া ন্যায় বিচারের ক্ষেত্ৰেও এটা একটা গুরুতর অন্যায়-বলেছে কোর্ট। মহিলারা পুরুষ অফিসারদের সমান দক্ষতার নৌ চালাচ্ছেন-বলেছে শীর্ষ আদালত। বেঞ্চ আরও বলেছে,নৌ বাহিনীতে অফিসার পদে মহিলাদের প্ৰবেশে বিধিবদ্ধ প্ৰতিবন্ধকতাগুলো তুলে নিয়ে তাদের প্ৰাপ্যপদ দিতে অস্বীকার করা হলে তা চরম বৈষম্যই করা হবে।

খালি পদের ভিত্তিতে এবং কর্মরত যে সমস্ত মহিলারা স্থায়ী কমিশন চেয়ে আবেদন করেছেন তা তিন মাসের মধ্যে বিবেচনা করা উচিত বলে উল্লেখ করেছে কোর্ট। নৌবাহিনীতে মহিলাদের জন্য স্থায়ী কমিশনের অনুমতি দিতে ২০১৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া এক রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতীয় নৌ বাহিনীর করা এক আবেদনের শুনানি নিচ্ছিল শীর্ষ আদালত।

চলতি বছরের ফেব্ৰুয়ারিতে সর্বোচ্চ আদালত কমান্ডিং পজিশনে থাকা মহিলা অফিসারদের পক্ষেই সায় দিয়েছিল। মহিলা অফিসারদের জন্য স্থায়ী কমিশন গঠনের পক্ষে রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ‘এটা একটা প্ৰগতিশীল রায়। আমরা এটা সেলিব্ৰেট করতে চাই। আমি এরজন্য প্ৰত্যেককেই ধন্যবাদ জানাতে চাই’-বলেন একজন মহিলা অফিসার,যিনি আবেদনকারীদের একজন।

শীর্ষ আদালত আরও বলেছে,সেনা বাহিনীর শর্ট সার্ভিস কমিশনে(এসএসসি)যে সমস্ত মহিলা ১৪ বছরের কম কাজ করেছেন তারা এখন স্থায়ী কমিশনের জন্য আবেদন করতে পারেন,যদি তারা চান। মহিলা অফিসারদের ভূমিকা এবং সাফল্যকে খাটো চোখে দেখা শুধু মহিলাদেরই নয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অবমাননার শামিল-বলেছে বেঞ্চ। মহিলারা এখন পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। তাই লিঙ্গ বৈষম্যের কোনও কারণই ধোপে টেকে না। মহিলা সেনা অফিসাররা দেশের জন্য গৌরবও কুড়িয়ে এনেছেন-বলেছে সুপ্ৰিম কোর্ট।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Covid-19: NHM conducts temporary screening camp at Paltan BazaarCongress-AIUDF