তিনসুকিয়াঃ ইসরোর বিজ্ঞানী নিধি শর্মা হলেন তিনসুকিয়ার দীপক দেব ও শিখা দেবের পুত্ৰবধূ। নিধি শর্মা ইসরোর একজন শীর্ষ সারির বিজ্ঞানী এবং চন্দ্ৰযান মিশন-২-এ তিনি কাজ করছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দীপক দেব জানান,নিধি কখনোই তাঁর পেশা এবং ইসরো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই এর আগে খোলাসা করতে চাননি।
চন্দ্ৰযান-২-এর ল্যান্ডার গত শনিবার চাঁদের পৃষ্ঠদেশে ২.১ কিমি. উপরে থাকাকালে ইসরোর সঙ্গে যখন সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই সময় দীপক দেব এবং তাঁর পরিবার নিধির পদ সম্পর্কে জানতে পারেন। ওই ঘটনার পরপরই নিধি শর্মা তিনসুকিয়ার তাঁর শ্বশুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরো বিষটি সম্পর্কে জানান শ্বশুর দীপক দেবকে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার(ইসরো)চন্দ্ৰ যান-১-এর পর চন্দ্ৰযান-২ হলো দ্বিতীয় দফার চন্দ্ৰাভিযান। চন্দ্ৰযান-২-এর সঙ্গে জোড়া ছিল লুনার অরবিটার বিক্ৰম ল্যান্ডার এবং প্ৰজ্ঞান লুনার রোভার। পুরো প্ৰকল্পটি ভারতীয় বিজ্ঞানীরাই প্ৰস্তুত করেছেন। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্ৰজ্ঞানের মাধ্যমে চাঁদের বুকে জলের অবস্থান ও এর প্ৰাচুর্যতা ও অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নেওয়া।
https://www.youtube.com/watch?v=u3VxLkxcfP4
২০১৯-এর ২২ জুলাই সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্ৰর দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে দুপুর ২.৪৩ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অভিযানে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিক চন্দ্ৰযান-২। গত ২০ আগস্ট চাঁদের কক্ষে পৌছয় চন্দ্ৰযান-২ এবং বিক্ৰম-এর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চাঁদের উল্টো দিকে অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুতে চাঁদের একেবারে কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছয়। ৭ সেপ্টেম্বর মাঝ রাত ১.৫০ নাগাদ চাঁদে অবতরণের প্ৰায় ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকাকালে ইসরোর সঙ্গে ল্যান্ডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
প্ৰাথমিক রিপোর্ট ল্যান্ডারটি ভেঙে পড়েছে বলে বলা হলেও ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবান পরে জানান ল্যান্ডারের অবস্থান খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে মিশনের অরবিটারটি কর্মক্ষম রয়েছে। শিবান বলেছেন চাঁদের বুকে ল্যান্ডারটি যথেষ্ট হার্ডল্যান্ডিং করেছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ২০২০ সালে ব্ৰহ্মপুত্ৰের উপর হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম সেতু
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Chandrayaan 2 Mission : Meet Nidhi Sharma (Scientist at ISRO) from Tinsukia