রাজ্যের খবর

এমজি রোডে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার পথচারীদের!

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটির ব্যস্ত রাজপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারের দৃশ্য হামেশাই দেখা যায়। ডিভাইডারের রেলিং টপকে রাস্তা পার হতে গিয়ে অনেক সময় পথিকরা দুর্ঘটনার শিকার হন। হাত-পা ভাঙার ঘটনাও ঘটে। এটা সত্য গুয়াহাটির রাজপথে ফুটব্ৰিজের সংখ্যা খুবই কম। হাতে গোনা কয়েকটি ফুটব্ৰিজ শহরে আছে ঠিকই তবে পথচারীদের সেগুলো ব্যবহার করতে দেখাই যায় না। ফলে এই সব ফুটব্ৰিজ অব্যবহৃত অবস্থায়ই পড়ে আছে। রাস্তা পার হবার সময় পথিকদের ঝুঁকি নেওয়াটা এখন অভ্যেসে পরিণত হয়েছে।

ফ্যান্সি বাজারে এমজি রোডে বাস স্টপের কাছে রাস্তা পার হবার সময় পথিকদের ঝুঁকি নিয়ে ডিভাইডারের রেলিং টপকে এপার-ওপার করতে দেখা যায়। ব্ৰহ্মপুত্ৰ তীরে থাকা ফুটপাথ ঘেঁষে যারা ফ্যান্সি বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন তাদের অধিকাংশই ডিভাইডারের রেলিং টপকে বাজারের দিকে এগিয়ে যান। আবার বাজার সেরে রাস্তার ওপারে অর্থাৎ নদী তীরে থাকা বাস স্টপে আসতেও পথিকরা ওই একই পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। পথচারীরা যাতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার না হন তার জন্যই ডিভাইডারে রেলিং বসানো হয়েছিল। পথিকদের জ্ঞাতার্থে গুয়াহাটি পুলিশ ওই এলাকায় সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে রেখেছে। তাতে পরিষ্কার করে লেখা আছে ব্যস্ত পথ পারাপারের জন্য কোন স্থানটি পথিকদের জন্য নিরাপদ। মহেন্দ্ৰ মোহন চৌধুরী হাসপাতালের কাছে এবং মাছখোয়ার কাছেও নিরাপদে রাস্তা পারাপারে সুবিধা রয়েছে। কিন্তু গুয়াহাটি ট্ৰাফিক পুলিশের ওই নির্দেশনা কেউই মানছে না। প্ৰতি মুহূর্তেই পথিকরা ফ্যান্সি বাজারে যাচ্ছেন কেনাকাটা করতে। আবার বাজারে কেনাকাটা সেরে বেরিয়ে আসা পথিকরাও এভাবে ঝুঁকি নিয়ে ডিভাইডারের রেলিং টপকে এপার-ওপার করছেন। এমন কি মহিলা ও শিশুরাও বিপদ বুঝেও এমন ঝুঁকি নিতে দুবার ভাবছেন না।

ওদিকে ট্ৰাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,জনগণের জ্ঞাতার্থে তারা সবরকম নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছেন। ‘পথ চলতি মানুষগুলোর প্ৰতি এক একজন করে নজর রাখা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিতে প্ৰস্তুত কিন্তু রাস্তা পারাপারের জন্য কয়েক মিটার হাঁটতে তারা প্ৰস্তুত নন-বলেন ট্ৰাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Police Sub-Inspector dies in a fatal accident in Tinsukia | The Sentinel News | Assam News