রাজ্যের খবর

গুয়াহাটির নারেঙ্গিতে এনআরসি সেবাকেন্দ্ৰ লন্ডভণ্ড করল দুষ্কৃতীরা,তদন্তের নির্দেশ পুলিশের

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ সুপ্ৰিমকোর্ট চুড়ান্ত নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)প্ৰকাশের জন্য যেখানে ৩১ আগস্ট চরম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে,সেই সময় গুয়াহাটির একটি সেবা কেন্দ্ৰে ভাঙচুর ও লন্ডভণ্ড করার খবর পাওয়া গিয়েছে। মহানগরীর নারেঙ্গি অঞ্চলে মঙ্গলবার বিকেলে একটি এনআরসি সেবা কেন্দ্ৰে ঘটনাটি ঘটে। খবরে প্ৰকাশ,নারেঙ্গির একটি এলপি স্কুলে রয়েছে এই সেবা কেন্দ্ৰটি। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত এনআরসি সেবা কেন্দ্ৰে চড়াও হয়ে কেন্দ্ৰটিতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্ৰ ইত্যাদি ধ্বংস করে ফেলে।

এনআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে সেবা কেন্দ্ৰে ঢোকে এবং কেন্দ্ৰের প্ৰবেশ দ্বারটি ভেঙে ফেলে। এরপর ভিতরে প্ৰবেশ করে দুষ্কৃতীরা সেফটি ট্ৰ্যাঙ্কে রাখা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্ৰগুলি ছিড়ে সেগুলি মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যায়। এখানেই থেমে থাকেনি দুষ্কৃতী দলটি। একজন দুষ্কৃতী সরকারি ল্যাপটপও ব্যবহার করেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে একদল পুলিশ এনআরসি সেবা কেন্দ্ৰে গিয়ে পৌঁছয়। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ আরও তদন্তে নেমেছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই খোঁজ খবর নিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে সুপ্ৰিমকোর্ট চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের চরম সময়সীমা ৩১ আগস্ট বেঁধে দিয়েছে। কেন্দ্ৰীয় সরকার এবং এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলার বিশেষ অনুরোধের পরিপ্ৰেক্ষিতেই সুপ্ৰিমকোর্ট এনআরসি প্ৰকাশের চূড়ান্ত তারিখ ৩১ আগস্ট বেঁধে দিয়ে ওই রায়ই দেয়। এর আগে ৩১ জুলাই চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের দিন ধার্য করেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পূর্ণ এনআরসি প্ৰকাশ করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তালিকায় আরও কিছু প্ৰকৃত ভারতীয়ের নাম অন্তর্ভুক্তি এবং অবৈধ বিদেশির নাম কর্তনের জন্য আরও কিছুটা সময়ের প্ৰয়োজন।

চূড়ান্ত এনআরসি প্ৰকাশের জন্য সময় সীমা বৃদ্ধির আর্জি জানানোর সময়ে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকার এনআরসিতে ভুলে ঢুকে পড়া লোকেদের নাম ছাটাইয়ের জন্য ২০ শতাংশ সেম্পল ভেরিফিকেশনের প্ৰস্তাব রেখেছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত ওই প্ৰস্তাব খারিজ করে দেয়। এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা কোর্টকে জানিয়েছিলেন রি-ভেরিফিকেশনের প্ৰয়োজন পড়বে না। কারণ ৭১ লক্ষের বেশি লোকের রি-ভেরিফিকেশন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। হাজেলার ওই প্ৰস্তাবের ভিত্তিতেই শীর্ষ আদালত সেম্পল ভেরিফিকেশনের দাবি খারিজ করে দেয়।