Admin
Admin
সংবাদ শিরোনাম

অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরৎ পাঠাতে দিল্লিকে চাপ দেওয়া উচিত অসম সরকারের

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ অসম থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের বহিষ্কারে তদন্ত প্ৰমাণ সহ পুরোপুরি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করার জন্য কেন্দ্ৰকে অসম সরকারের চাপ দেওয়া উচিত। এটা বিশেষ করে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ বর্তমান ব্যবস্থা এর উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অসম সরকারের গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগের তথ্য অনু্যায়ী,২০১৩ সালের মার্চ থেকে অসমে আসা অবৈধ ঘোষিত মাত্ৰ ৬ জন বাংলাদেশিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১৯৮৫ সালের পর থেকে অসমের বিদেশি ট্ৰাইবুনাল(এফটি)৮৪ হাজার ব্যক্তিকে অবৈধ বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করেছিল,যাদের বেশির ভাগই এসেছিল বাংলাদেশ থেকে।

২০১৩ সালের আগে সব ঘোষিত বিদেশিকে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠানোর কথা ছিল। ২০১৩ সালের মার্চে ভারত সরকার ও বাংলাদেশ নীতিগত কিছু পরিবর্তনে সম্মত হওয়ায় অবৈধ বাংলাদেশিদের স্বভূমে ফেরৎ পাঠানোর সরকারি প্ৰক্ৰিয়াও শুরু করেছিল ভারত সরকার।

নতুন নীতি অনু্যায়ী,ফরেনার্স ট্ৰাইবুনালের দ্বারা(এফটি)কোনও ব্যক্তি যদি অবৈধ বিদেশি ঘোষিত হন তাহলে অসম সরকার ওই সমস্ত ব্যক্তিদের বিস্তারিত ঠিকানা স্বরাষ্ট্ৰ(এমএইচএ)এবং বিদেশ মন্ত্ৰকের(এমইএ)কাছে পাঠাবে। এধরনের তথ্যের ভিত্তিতে ভারত সরকার এই সমস্ত বিদেশি ব্যক্তিদের বিস্তারিত ঠিকানা বাংলাদেশ সরকারকে জানাবে। বাংলাদেশ সরকার এই সমস্ত ব্যক্তিদের ঠিকানা ও তথ্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সম্মতি জানালেই বিদেশিদের বহিষ্কারের প্ৰক্ৰিয়া শুরু করা যাবে।

এই নতুন ব্যবস্থার আগে অসম সরকার কেন্দ্ৰের অনুমতি নিয়ে ঘোষিত বিদেশিদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে নিয়ে গিয়ে তাদের ওই দেশে ঠেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল।

স্পষ্টতই বর্তমানে সরকারিভাবে বিদেশি বহিষ্কারে যে প্ৰক্ৰিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে সেটা পূর্বের ‘পুশ ব্যাক’ ব্যবস্থার চেয়ে ভালো। তবে বিদেশিদের বহিষ্কারের প্ৰক্ৰিয়ায় নির্দিষ্ট কিছু বাধা বি্পত্তিও রয়েছে। এতে বাস্তব ক্ষেত্ৰে ভারত সরকারের উদ্দেশ্য তেমন ফলপ্ৰসূ হচ্ছে না। অসম সরকার ঘোষিত বাংলাদেশিদের যে সমস্ত ঠিকানা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশ সরকার সেগুলো পরীক্ষা করার সময় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্ৰে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভারত সরকারকে দেওয়া জবাবে বলা হয়েছে এধরনের কোনও ঠিকানা তারা খুঁজে পায়নি। পরে ওই ঠিকানাগুলো তারা অসম সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। সূত্ৰটি আরও জানিয়েছে,বাংলাদেশ সরকার সেই সব লোকেদেরই ফিরিয়ে নিচ্ছে যাদের হাতে ওই দেশের পাসপোর্ট,ভিসা ইত্যাদি রয়েছে,যারা ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ভারতে থেকে গেছেন। ২০১৩ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশ সরকার,ভারতের কাছ থেকে এধরনের ২২১ জন নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়েছে।

বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্ৰী এ কে আব্দুল মোমিন সম্প্ৰতি বলেছেন,তাঁর দেশ ভারতকে অনুরোধ করেছে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক যদি ভারতে অবৈধভাবে থেকে থাকেন তাহলে ভারত যেন তার তালিকা বাংলাদেশকে দেয় এবং বাংলাদেশ অবশ্যই তাদের ফিরিয়ে নেবে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Women bodies protest against CAA-2019 in Biswanath