সংবাদ শিরোনাম

ক্যা বিরোধী প্ৰতিবাদের প্ৰভাব,রাজ্যে ১০ দিন পর খুলল শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানগুলি

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদে রাজ্যে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ১০ দিন পরে সোমবার ফের স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুলেছে। গৌহাটি ও ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ৰরা বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদে কালো ব্যাজ পরে তাদের সেমিস্টার পরীক্ষায় বসেছে। এদিকে বড়দিন ও শীতকালীন ছুটির জন্য খ্ৰিস্টান স্কুলগুলি এখন বন্ধ রয়েছে। তবে রাজ্যের রাজধানী শহর গুয়াহাটিতে অন্যান্য বেসরকারি এবং সরকারি স্কুলগুলি সোমবার সকাল থেকে ফের খুলে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি স্কুলগুলিতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ক্যা বিরোধী প্ৰতিবাদ হিংসাত্মক মোড় নেওয়ার প্ৰেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলি স্থগিত রাখতে হয়। এদিকে সেন্ট্ৰাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের(সিবিএসই)স্বীকৃত বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো ইউনিট টেস্ট শুরু করেছে। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুলেছে সোমবার। গুয়াহাটি শহরের অধিকাংশ কলেজে সোমবার নিয়মিতভাবে ক্লাস হয়েছে। ক্যা বিরোধী প্ৰতিবাদের জন্য স্নাতকোত্তর পাঠক্ৰমের সেমিস্টার পরীক্ষাগুলো স্থগিত রাখতে হয়েছিল। তবে গৌহাটি ও ডিব্ৰুগড় উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ৰরা ক্যা-র বিরুদ্ধে তাদের প্ৰতিবাদ অব্যাহত রাখবে। ‘আমরা একই সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ও পরীক্ষায় বসার পাশাপাশি ক্যার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদও চালিয়ে যাবো। ক্যা রদ না হওয়া পর্যন্ত প্ৰতিবাদের অবসান হবে না’-বলেন গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পরীক্ষার্থী।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে রাজ্যের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সম্প্ৰতি সংবাদপত্ৰে বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাত্ৰ সমাজকে পড়াশোনায় মনসংযোগ করে যথাসময়ে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাপক সংখ্যক ছাত্ৰ ক্যা-র বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাজ্য সরকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস চালাতে এবং যথাসময়ে পরীক্ষার আয়োজন সুনিশ্চিত করতে উপাচার্যদের বলেছিল। গুয়াহাটি মহানগরীতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরেছে যদিও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এখনও বিদ্যালয়ে পাঠাতে আশঙ্কা বোধ করছেন।

‘গত ১১ ডিসেম্বর ক্যা বিরোধী আন্দোলন এশহরে হিংসাত্মক মোড় নেওয়ার সময় আমার মেয়ে স্কুলে ছিল। প্ৰতিবাদকারীরা শহরের সব প্ৰধান রাস্তা অবরোধ করে রাখে। ওই দিন সন্ধে ৫টা নাগাদ আমার মেয়ে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছয়। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি আমি। আশা করবো এধরনের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যেন আর মহানগরীতে না ঘটে’-বলেন দিশপুরের বাসিন্দা সুনীতা বরগোঁহাই।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Krishak Shramik Unanyan Parishad & 7 other organizations calls for 12-hr Assam Bandh on Dec 27