গুয়াহাটিঃ মরিয়নির কংগ্ৰেস বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি আবার এলেন সংবাদ শিরোনামে। মঙ্গলবার বিধানসভার প্ৰবেশপথে লাল কার্পেটে বসে ব্লেড দিয়ে নিজেরই হাতের তালু কেটে সরকারের শিল্পোদ্যোগ বিক্ৰির প্ৰস্তাব সংক্ৰান্ত অভিযোগের প্ৰতিবাদে সোচ্চার হতে দেখা গেছে কুর্মিকে। কাটা হাতের রক্ত দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান লেখেন তিনি। কুর্মির এহেন প্ৰতিবাদে বিধানসভায় একইসঙ্গে চাঞ্চল্য,কৌতূহল এবং উৎকণ্ঠার রূপরেখা ফুটে ওঠে। অস্বাভাবিক কায়দায় প্ৰতিবাদ করে কুর্মিকে প্ৰায়ই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসতে দেখা যায়। মঙ্গলবার বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে কুর্মি একটা ব্লেড হাতে নেন এবং বিধানসভা হলের মূল প্ৰবেশ ও বহির্গমনের দুয়ারে বসে সাংবাদিকদের সামনেই হাতের তালু চিরে ঝরা রক্ত দিয়ে শ্লোগান লেখেন সরকারের শিল্পোদ্যোগ বিক্ৰি করার প্ৰস্তাবের প্ৰতিবাদে। বিধানসভার চলতি শীতকালীন অধিবেশনের চতুর্থ দিনে এই ঘটনা ঘটে।
কুর্মি এদিন একটি লাল রঙের প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন বিধানসভায়। নগাঁও ও কাছাড় কাগজ কল,নামরূপ সার কারখানা,হাতিখিরা ও আইলবাড়ি টি এস্টেট বিক্ৰি করার সরকারি প্ৰস্তাব সংক্ৰান্ত অভি্যোগের প্ৰতিবাদে ওই প্ল্যাকার্ডেই শ্লোগান লিখেন কুর্মি। নিজের সঙ্গে আনা লাল রঙের প্ল্যাকার্ডে কুর্মি রক্ত দিয়ে শ্লোগান লিখেন,‘জাতি-মাটি-ভেটি নষ্ট’,অসমিয়ার সম্মান ও ভবিষ্যৎ জড়িয়ে থাকা এই সম্পদরাজি বিক্ৰি করতে দেওয়া হবে না ইত্যাদি। প্ৰায় মিনিট দশেক কুর্মি অভিনব কায়দায় এই প্ৰতিবাদ জানান। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতাকে ভেঙে কোনও নিরাপত্তারক্ষী বা বিধায়ক কুর্মিকে বাধা দিতে এগিয়ে আসেননি। পরে সাংবাদিকরাই কুর্মিকে বিধানসভা চত্বরে থাকা মেডিক্যাল ইউনিটে নিয়ে যান। তাঁর বা হাতের তালুতে তিনটি সেলাই পড়েছে। তবে পরে ডাক্তার ঘোষণা করেন কুর্মি সম্পূর্ণ ফিট রয়েছেন।
প্ৰতিবাদের এই নমুনা সম্পর্কে বিরোধী নেতা কংগ্ৰেসের দেবব্ৰত শইকিয়া বলেন,কুর্মির এজাতীয় প্ৰতিবাদকে তিনি সমর্থন করেন না। এই ঘটনায় বিধানসভায় রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায়। সদনে ইস্যুটি তুলে বিজেপি বিধায়ক পদ্ম হাজরিকা বলেন,একজন বিধায়কের ব্লেড নিয়ে বিধানসভায় ঢোকা যখন শনাক্ত করা যায়নি,সেক্ষেত্ৰে অন্যান্য বিধায়কদের কি নিরাপত্তা থাকতে পারে? আরও এক বিজেপি বিধায়ক নুমল আমিন বলেন,কুর্মির এই প্ৰয়াসকে আত্মহত্যার চেষ্টা বলা যেতে পারে। বলেন,আইন মতে আত্মহত্যা হচ্ছে একটা অপরাধ।
বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰনাথ গোস্বামী এই ঘটনায় চরম উৎকণ্ঠা প্ৰকাশ করে বলেন,বিধানসভাকে নাট্যমঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যায় না। তিনি এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে অধ্যক্ষ গোস্বামী বিরোধী নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া,সংসদ বিষয়ক মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি এবং বিধায়ক ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা প্ৰতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)সমর্থনের ইঙ্গিত অগপ-র
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: KMSS and indigenous organizations protest against Citizenship Amendment Bill in Nagaon’s Kampur