গুয়াহাটিঃ মাজুলি এবং অসম-মেঘালয় সীমান্তের কয়েকটি গ্ৰামের বেশকিছু লোককে খ্ৰিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করায় উদ্বেগ প্ৰকাশ করেছে অসম সত্ৰ মহাসভা। ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে মাজুলিবাসীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং তাদের অনুপ্ৰাণিত করতে সত্ৰ মহাসভা ইতিমধ্যেই ব্যাপক গণ সচেতনতা অভি্যান শুরু করেছে। ‘সমন্বয় যাত্ৰা’ নাম দিয়ে এই কর্মসূচির প্ৰথম পর্যায় সম্প্ৰতি সম্পন্ন করেছে সত্ৰ মহাসভা।
দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় অসম সত্ৰ মহাসভার সাধারণ সম্পাদক কুসুম কুমার মহন্ত বলেন,‘আমরা এটা লক্ষ্য করেছি যে কিছু স্থানীয় লোককে খ্ৰিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। মাজুলির মিশিং সম্প্ৰদায়ের মধ্যেই এটা ঘটেছে। মাজুলি হচ্ছে বৈষ্ণব সংস্কৃতির পাঠস্থান। একইসঙ্গে অসম-মেঘালয় সীমান্তে কয়েকটি গ্ৰামে রাভা জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষকে খ্ৰিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। ‘ধর্মান্তকরণের এই প্ৰবণতা ঠেকাতে আমরা গত ১৯ থেকে ২২ অক্টোবর মাজুলির ২০টি গ্ৰামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমন্বয় যাত্ৰা চলাকালে আমরা তাঁদের আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার আবেদন জানিয়েছি। আমরা তাদের বিদেশি ধর্মের পিছনে না ছুটতে অনুরোধ করেছি’।
এব্যাপারে মাজুলিবাসীর কাছ থেকে যে সাড়া পাওয়া গেছে সে সম্পর্কে মহন্ত বলেন,জেংরাইয়ের কতিপয় ব্যক্তি ছাড়া অধিকাংশ গ্ৰামবাসীর কাছ থেকে আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। জেংরাইয়ের মুষ্ঠিমেয় কিছু লোক আমাদের বলেছেন,কিছু সত্ৰ নাকি তাদের খাটো নজরে দেখছে।
আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সত্ৰগুলোর নজরে আনা হবে।
‘ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে মাজুলিবাসীর মধ্যে সচেতনতা বোধ গড়ে তোলা ও তাদের অনুপ্ৰাণিত করতে এ বছরের শেষ নাগাদ আরও কিছু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। অসম-মেঘালয়ের সীমান্ত গ্ৰামে ধর্মান্তকরণের অভি্যোগ সম্পর্কে সত্ৰ মহাসভার সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,আন্তঃরাজ্য সীমান্ত গ্ৰামে রাভা সম্প্ৰদায়ের মধ্যেই ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটেছে। ‘আমরা গুয়াহাটির কাছে রানি থেকে গোয়ালপাড়া অবধি রাভা অধ্যুষিত গ্ৰামগুলোতে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে তাদের বোঝাতে কিছু অনুপ্ৰেরণামূলক কর্মসূচি হাতে নেবো-বলেন তিনি। আমাদের এই প্ৰক্ৰিয়া চলতে থাকবে’-জানান মহন্ত।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ দুই সন্তান নীতি,দিশপুরের পদক্ষেপের প্ৰতি সমর্থন আমসুর
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: One Person Killed in a Road Accident on the NH-38 in Digboi.