সংবাদ শিরোনাম

বন্যা ও ধসে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ এবারের প্ৰলয় বন্যা ও ভূমিস্খলনে গোটা রাজ্যে বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যায় প্ৰাণ হারান ১০ জন ব্যক্তি। রাজ্যের ২৯টি জেলার ১১৪টি রাজস্ব সার্কলের ৪,৬২৬টি গ্ৰাম ও এলাকার মোট ৫৭,৫১,৯৩৮ জন মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। সিডব্লিউসি(সেণ্ট্ৰাল ওয়াটার কমিশন)-এর মতে,বুধবার সন্ধে ৬টা নাগাদ ধুবড়িতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ হাই ফ্লাড লেভেল ৩০.৩৬ মিটার অতিক্ৰম করে। দীর্ঘ ৩১ বছর ধুবড়িতে ব্ৰহ্মপুত্ৰে এই ভয়ঙ্কর প্ৰবল জলস্ফীতি দেখা গেল। ধুবড়িতে ব্ৰহ্মপুত্ৰের ওয়ার্নিং লেভেল হলো ২৭.৬২ মিটার এবং বিপদ সঙ্কেত হচ্ছে ২৮.৬২ মিটার।

তবে উজান অসম ও বরাক উপত্যকায় জল কিছুটা কমলেও নিম্ন অসমে বন্যা পরিস্থিতি এখনও শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। ব্ৰহ্মপুত্ৰ-বরাক এবং অন্যান্য প্ৰধান উপনদীগুলোর জলস্তর এখনও ওয়ার্নিং লেভেলের ওপর দিয়ে বইছে।

বন্যায় বুধবার ১০ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন মরিগাঁও জেলার(২ জন ভুরাগাঁওয়ের এবং মরিগাঁও ও লাহরিঘাটের ১ জন করে),শোণিতপুর জেলার ২ জন(ঢেকিয়াজুলির ১ এবং ঠেলামারার ১),ওদালগুড়ি জেলার ২ জন এবং কামরূপ(মেট্ৰো)১ এবং নগাঁওয়ের রহার একজন। ওদিকে যোরহাটের নিমাটিঘাটে ব্ৰহ্মপুত্ৰ এখনও বিপদ চিহ্নের ওপর দিয়ে বইছে। তেজপুর,গুয়াহাটি,গোয়ালপাড়া,ধুবড়িতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ বয়ে চলেছে বিপদ সঙ্কেতের উপর দিয়ে। গোলাঘাটের নুমলিগড়ে ধনশিরি,শোণিতপুরের এনআর রোডে জিয়া ভরলি,নগাঁও,ধরমতুলে কপিলি,বরপেটায় বেকি,হাইলাকান্দির মাটিজুরিতে কাটাখাল এবং করিমগঞ্জে কুশিয়ারার জলস্তর এখনও বিপদ সীমার ওপরে রয়েছে।

রাজ্যে বর্তমানে ৮১৯টি ত্ৰাণ শিবির কর্মক্ষম রয়েছে। এই সব শিবিরে আশ্ৰয় নিয়েছেন ১,৫০,৯৪৭ জন। অসম রাজ্য দুর্যোগ প্ৰশমন কর্তৃপক্ষের(এএসডিএমএ)তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। ২৪৬ বাড়ি বন্যায় বিলীন হয়ে গেছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৪৫৯টি ঘরের। ১,৭৩,৩১২.১২ হেক্টর কৃষিভূমি জলে ডুবে গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে ২৩,৫৮,২০১টি জীবজন্তু এবং ২১,৭৮,৯৭০টি হাঁস-মুরগির খামার ক্ষতির মুখে পড়েছে। বুধবার পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্ৰস্ত ২৯টি জেলা হলো ধেমাজি,লখিমপুর,বিশ্বনাথ,শোণিতপুর,দরং,ওদালগুড়ি,বাকসা,বরপেটা,নলবাড়ি,চিরাং,বঙাইগাঁও,কোকরাঝাড়,ধুবড়ি,দক্ষিণ শালমারা,গোয়ালপাড়া,কামরূপ,কামরূপ(এম),মরিগাঁও,নগাঁও,হোজাই,গোলাঘাট,মাজুলি,যোরহাট,শিবসাগর,ডিব্ৰুগড়,তিনসুকিয়া,কাছাড়,কার্বিআংলং ও করিমগঞ্জ।