সংবাদ শিরোনাম

টুইন টাওয়ার প্ৰকল্প বাস্তবায়নের কোনও নামগন্ধ নেই এখনও

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ মহানগরী গুয়াহাটিতে ৬৫ তলার একটি টুইন টাওয়ার ট্ৰেড সেন্টার নির্মাণে অসম সরকার ২০১৮-র ২ ফেব্ৰুয়ারি ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্ৰাকশন কর্পোরেশনের(এনবিসিসি)সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। বিশ্ব বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের একদিন আগে গুয়াহাটির ৩৭নং রাষ্ট্ৰীয় সড়কের কাছে বশিষ্ঠ চারালিতে ৩০ বিঘা জমির ওপর ট্ৰেড সেন্টার নির্মাণের লক্ষ্যে সমঝোতা চুক্তিটি(মৌ)স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই টুইট টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করার জন্য প্ৰকল্প স্থলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও সম্পন্ন করা হয়। ৬০ মাস অর্থাৎ পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্ৰকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আনুমানিক খরচের অঙ্ক ধার্য হয়েছিল ১,৯০০ কোটি টাকা।

কিন্তু ১৫ মাসের বেশি সময় কেটে যাওয়ার পরও দিশপুরের স্বপ্নের প্ৰকল্প বাস্তব রূপ নেওয়ার কোনই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গুয়াহাটিকে দক্ষিণ পুব এশিয়ার ব্যবসা বাণিজ্যের হাবে রূপান্তর করার দাবি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু ওই দাবিও এখন ফিরে হতে চলেছে।

সূত্ৰটি বলেছে,টুইন টাওয়ার ট্ৰেড সেন্টার নির্মাণে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে অর্থাভাব। উদ্যোগ ও বাণিজ্য বিভাগ এই মেগা প্ৰকল্প নির্মাণে অর্থের সূত্ৰটি সম্পর্কে বিস্তারিত চিন্তাভাবনা না করেই পরিকল্পনাটি প্ৰস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে সূত্ৰটি।

অন্যদিকে,৬৫ তলার এই বহুতল বাড়িটি নির্মাণের ক্ষেত্ৰে নিরাপত্তার প্ৰশ্নটিও জড়িয়ে আছে। কারণ অসম মূলত ‘ভি’ জোনে পড়ে,যা ভূমিকম্পের ক্ষেত্ৰে অত্যন্ত ঝুঁকি প্ৰবণ। তাই বড় ধরনের কোনও ভূমিকল্প হলে এই বিশাল টাওয়ারটি স্বস্থানে দাঁড়িয়ে থাকবে কি না সেটা বড় প্ৰশ্ন। গুয়াহাটি মেট্ৰোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির(জিএমডিএ)নিয়ম অনু্যায়ী গুয়াহাটিতে সর্বোচ্চ জি প্লাস ১৫ ফ্লোর রয়েছে। তাই প্ৰস্তাবিত টুইন টাওয়ার বড় ধরনের ভূমিকম্পে দাঁড়িয়ে থাকার কোনও নিশ্চয়তা জিএমডিএ দেবে কি-সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।

পরিকল্পনা অনু্যায়ী দর্শনীয় এই টুইন টাওয়ারে কনস্যুলেট,দক্ষিণ পুব এশিয়ার দেশগুলির কার্যালয়,বাণিজ্যিক এবং ফাইনেন্স অফিস,কনভেনশন সেন্টার,মিউজিয়াম,হোটেল,শপিং কমপ্লেক্স এবং সার্ভিস এপার্টমেন্ট ইত্যাদি থাকার কথা।

দিশপুর দাবি করেছিল দিল্লির অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি অনু্যায়ী টুইন টাওয়ার নির্মিত হলে রাজ্যের ব্যবসা বাণিজ্য উন্নত হওয়া ছাড়াও গুয়াহাটি দক্ষিণ পুব এশিয়ার দেশগুলির বাণিজ্যিক হাব হয়ে উঠবে। ২০১৮ সালে উদ্যোগ ও বাণিজ্য মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি এবং তদানীন্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রবি কাপুর অসমের জনগণের উদ্দেশে বলেছিলেন মেগা প্ৰকল্পটি খুব শিগগিরই বাস্তব রূপ নেবে। এখন পাটোয়ারি ও কাপুর প্ৰকল্পের স্টাটাস সম্পর্কে অসমের জনগণকে কিছু বলতে পারবেন কি? কেন এই প্ৰকল্প রূপায়ণে দেরি হচ্ছে তার ব্যাখ্যা জনগণকে দিতে হবে তাঁদের।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Guwahati to celebrate Diwali 2019, Watch the preparations