গুয়াহাটিঃ ২০১৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সারা রাজ্যে ফরেনার্স ট্ৰাইবুনালে(এফটি)পাঠানো মামলাগুলোর সংখ্যা প্ৰচণ্ড হ্ৰাস পেয়েছে। ২০১৭-র ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯,৪৫৭টি মামলা বিদেশি ট্ৰাইবুনালে(এফটি)পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ২০৫১ টি হ্ৰাস পায়। অন্যদিকে,২০১৯-এর ৩০ নভেন্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ১০০০-এর লক্ষ্যও অতিক্ৰম করেনি। সরকারি তথ্যে দেখানো হয়েছে যে ২০১৯-এ মাত্ৰ ৫৯৯টি মামলা এফটিতে রেফার করা হয়েছে।
গত তিন বছরে অসম পুলিশের সীমান্ত শাখা রাজ্যের বিভিন্ন বিদেশি ট্ৰাইবুনালে ১২,১০৭টি মামলা পাঠিয়েছিল। এজাতীয় লোকেদের ন্যাশনালিটির স্ট্যাটাস সম্পর্কে মতামত জানতেই ওই মামলাগুলো এফটিতে পাঠিয়েছিল পুলিশ ।কিন্তু এফটিতে পাঠানো মামলার সংখ্যা কেন প্ৰচণ্ড পরিমাণে হ্ৰাস পেলো সে ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনও জবাব না পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যের। ট্ৰাইবুনালে পাঠানো মামলাগুলোর ক্ষেত্ৰে কোনও বিধিনিষেধ চাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে রাজ্যের গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগের একজন পদস্থ কর্মকর্তা নেতিবাচক জবাব দেন। বিদেশি ট্ৰাইবুনালগুলো হচ্ছে আধা বিচার বিভাগীয় কোর্ট। ২০১৯-এর ৩১ আগস্টে প্ৰকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি(রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি)থেকে বাদ পড়া লোকেদের আবেদন শুনানির জন্যই এই এফটিগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে অসমের ১০০টি এফটিতে আনুমানিক ১.৫ লক্ষ মামলা ঝুলছে।
এই ইস্যুটি নিয়ে প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,‘অসমে অবৈধ বিদেশি চিহ্নিতকরণ ও বহিষ্কারে সরকারের কোনও আগ্ৰহই নেই। এফটিতে পাঠানো মামলার সংখ্যা হ্ৰাস পাওয়ার এটাই প্ৰকৃত কারণ। এনআরসি প্ৰক্ৰিয়া নবায়নকালে সরকার সন্দেহভাজন লোকেদের মামলাগুলো নিশ্চিতভাবে এফটিতে পাঠাতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি। এনআরসি নবায়নকালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এফটিতে পাঠানো এজাতীয় মামলাগুলোর সংখ্যা কর্তন করেছে।
ছাত্ৰ নেতা আরও বলেন,এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বিজেপি প্ৰাক নির্বাচনী প্ৰচারকালে বিদেশি ইস্যু সমাধান করার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা সঠিক দিশায় চলছে না-বলেন গগৈ।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বিটিআর থেকে অবোড়ো গ্ৰাম বাদ দেওয়ার দাবিতে গোরেশ্বরে অবোড়োদের সমাবেশ
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AGP’s General Council Meeting held in Guwahati