নয়াদিল্লিঃ মারণ জীবাণু করোনা ভাইরাসের সংক্ৰমণে প্ৰথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে। কর্নাটকের কালবার্গি জেলায় এই রোগে আক্ৰান্ত ৭৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় মঙ্গলবার । এই ব্যক্তিটি দশ-এগারো দিন আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছিলেন। কোভিড-১৯ পরীক্ষায় তার শরীরে এই রোগ জীবাণু ধরা পড়ে। এদিকে,ভারতে এই জীবাণুতে আক্ৰান্ত লোকের সংখ্যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে কেরলে ১৭ জন আক্ৰান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদিকে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় কেরল স্বাস্থ্য মন্ত্ৰকের নির্দেশিকা অনুয়ায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী পিনারাই বিজয়ন বৃহস্পতিবার একটি নতুন অ্যাপ চালু করেছেন। তিনি বলেন,রাজ্যে করোনায় আরও দুজন নতুন করে আক্ৰান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই নিয়ে কেরলে করোনা ভাইরাসে আক্ৰান্তদের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জলে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গোটা দেশে এই মারণ জীবাণুতে আক্ৰান্তের সংখ্যা ৭৩ জনে পৌঁছেছে। দুবাই থেকে কানুরে আসা এক ব্যক্তির শরীরেও এই জীবাণু ধরা পড়েছে। তাকে পৃথকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে কাতার থেকে ত্ৰিছুড়ে আসা আরও একজনের শারীরিক পরীক্ষায় পজিটিভ ফল এসেছে। তাকেও পৃথকভাবে রাখা হয়েছে-সাংবাদিকদের জানান মুখ্যমন্ত্ৰী বিজয়ন। তিনি আরও বলেন,ইটালি থেকে থিরুবনন্তপুরমে আসা আরও একজন ব্যক্তির শারীরিক পরীক্ষা চলছে। তবে এব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন,রাজ্যে ৩৯১০ জন ব্যক্তিকে তাদের বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ২৭০ জনকে রাখা হয় বিভিন্ন হাসপাতালের পৃথক ওয়ার্ডে। তিনি বলেন,চালু করা নতুন মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে কোভিড-১৯ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। সাধারণ মোবাইলেও এসএমএস এলার্টের মাধ্যমে এই নতুন ব্যবস্থা উপলব্ধ হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশিকা সবাইকে মেনে চলতে এবং সেইসঙ্গে রোগের প্ৰকৃতি সম্পর্কে সাবধান হতে বলা হয়েছে। কেউ অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সংস্পর্শে আসা উচিত। আমরা ছটি হেলফ লাইনও চালু করেছি-বলেন বিজয়ন। প্ৰত্যেককেই নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণের বাইরে চলে যেতে পারে। রজ্যের চারটি বিমানবন্দরে যাত্ৰীদের স্ক্ৰিনিঙের ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আন্তর্জাতিক বিমানে এখানে আসা ১১৩৫ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা গেছে এবং এর মধ্যে ১৮ জনের শরীরে রোগের লক্ষণ রয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে করোনা আক্ৰান্ত দেশগুলো থেকে ৯০০ জন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে ভারত সরকার। এছাড়া মালদ্বীপ,চিন এবং আমেরিকার অন্যান্য ৪৮ জন নাগরিককে উদ্ধার করেছে কেন্দ্ৰ সরকার। কেন্দ্ৰীয় সরকারের গঠিত মন্ত্ৰী পর্যায়ের গ্ৰুপ পরিস্থিতির প্ৰতি ঘনঘন নজর রাখছে এবং কোভিড-১৯ এর হাত থেকে বাঁচতে নাগরিকদের বিভিন্ন শলা দিচ্ছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অসমের অর্থনীতি ইতিবাচক দিশায় এগোচ্ছেঃ অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Fire breaks out at business establishment near Powai Tea Estate under Margherita Sub-Division