চিনের উহানে সৃষ্ট করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বের সঙ্গে ক্ৰমে ভারতেও জটিল অবস্থা সৃষ্টি করার প্ৰতি লক্ষ্য রেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে মিজোরাম এবং মণিপুর। এর প্ৰধান কারণ হচ্ছে,দুটো রাজ্যই রয়েছে মায়ানমার সীমান্ত কেঁষে। তাছাড়া মিজোরাম পড়শি বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা। উভয় রাজ্য করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য প্ৰাদুর্ভাব নিয়ন্ত্ৰণের উদ্দেশ্যে তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করে দিয়েছে। মায়ানমার-মিজোরাম সীমান্তের দূরত্ব ৫১০ কিলোমিটার এবং মিজোরাম-বাংলাদেশ সীমান্তের দূরত্ব ৩১৮ কিলোমিটার। বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করার বিষয়টি প্ৰকাশ করে মণিপুরের গৃহ বিভাগের বিশেষ সচিব এইচ জ্ঞান প্ৰকাশ বলেন,করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্ৰাদুর্ভাবের প্ৰতি লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করা হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক সীমান্তে মানুষ এবং যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। একইভাবে মিজোরাম সরকারও মায়ানমার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য,মায়ানমার সীমান্ত সিল করার দাবি তুলে কিছুদিন আগে সোচ্চার হয়েছিল মিজোরাম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস। এক বিবৃতিত মিজোরাম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস এই দাবি উত্থাপন করে মন্তব্য করেছিল যে প্ৰায়ই মায়ানমারের নাগরিকরা মিজোরাম এসে থাকেন। একইভাবে আসে চিনারাও। এসব ক্ষেত্ৰে কোনও ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। ফলে যেকোনও মুহূর্তে রাজ্যে করোনা ভাইরাস প্ৰাদুর্ভাবের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ,চিনের উহানে করোনা ভাইরাসের প্ৰথম প্ৰাদুর্ভাব ঘটে এবং ইতিমধ্যে এই মারণ জীবাণুর আক্ৰমণে ওই দেশে সহস্ৰাধিক লোক প্ৰাণ হারিয়েছেন। সেইহেতু অবিলম্বে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত সিল করার জন্য মিজোরাম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস দাবি করেছিল। একইভাবে একটি বেসরকারি সংগঠনও(এনজিও)ভারত-মায়নমার সীমান্তে ফেন্সিং বসানোর দাবি জানিয়েছিল।
মিজোরাম চাকমা অ্যালায়েন্স এগেইনস্ট ডিসক্ৰিমিনেশন নামের ওই সংগঠনটি অভিযোগ করে গত কিছুদিন আগে ভারত-মায়ানমার সীমান্তের মিজোরামে চোরাইপথে আনা একশো কোটি টাকার বিভিন সামগ্ৰী সরকারি সংস্থা বাজেয়াপ্ত করে। এভাবে পরিস্থিতি ক্ৰমেই জটিল হয়ে উঠছে বলে সংগঠনের সভাপতি পরিতোষ চাকমা মন্তব্য করে বলেন যে করোনা ভাইরাস প্ৰতিরোধ ছাড়াও চোরাচালান ঠেকাতেও সরকারের ক্ষিপ্ৰতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা উচিত। অন্যদিকে,মিজোরাম স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনু্যায়ী রাজ্যে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৪.৬৪০ জন লোকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে অরুণাচল প্ৰদেশ এবং সিকিমও করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য সংক্ৰমণ ঠেকাতে দুটো রাজ্য সরকারই বিদেশি নাগরিকের প্ৰবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ মধ্যপ্ৰদেশে চরম সংকটে কংগ্ৰেস সরকার,২১ বিধায়ক সহ বিজেপিতে যাচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: KMSS Leader Akhil Gogoi rushed to GMCH once again on Wednesday