লখনৌঃ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(ক্যা)নিয়ে বিরোধীদের ভূমিকাকে একাহত নিলেন স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ। তিনি বলেন,বিরোধীরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যতই প্ৰতিবাদ-বিক্ষোভ করুক না কেন,কেন্দ্ৰের মোদি সরকার ক্যা নিয়ে কোনওভাবেই পিছু হটছে না। শাহ এদিন রাহুল গান্ধী,মমতা ব্যানার্জি,অখিলেশ যাদব,মায়াবতীর নাম করে জোর আক্ৰমণ শামান। ক্যা নিয়ে শাহ তাঁদের আলোচনার টেবিলে আসার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী বলেন,এই সমস্ত নেতারা শুধু ভোট ব্যাংক রাজনীতির পিছনে ছুটছেন। ‘আমরা বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। কারণ বিরোধীদের প্ৰতিবাদের মধ্যেই আমাদের জন্ম হয়েছে’-বলেন তিনি।
লখনৌয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)সমর্থনে আয়োজিত এক সমাবেশে মঙ্গলবার বক্তব্য রাখছিলেন শাহ। তিনি বলেন,দেশ বিভাজনের সময় পাকিস্তানে হিন্দু,বৌদ্ধ,শিখ এবং খ্ৰিস্টান সহ ২৩ শতাংশ সংখ্যালঘু ছিলেন,কিন্তু বর্তমানে ওই সংখ্যা তিন শতাংশে নেমে এসেছে। ওই সমস্ত মানুষ কোথায় যেতেন? হয় তাদের মরতে হতো অথবা ধর্মান্তরিত হওয়া কিংবা ভারতে পালিয়ে আসা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। এদের অনেকেই পাকিস্তানে পৈতৃক ভিটে ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন এখানে এবং এখন কুঁড়ে ঘরে বাস করছেন। ‘প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি শুধু এদের ঘরই দেননি,কাজ এবং সুস্থ জীবনও দিয়েছেন। এটা কি ভুল?-জানতে চান শাহ।
স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী আরও বলেন,আফগানিস্তানে দলিতরা নির্যাতিত হয়েছে। ওখানে বুদ্ধদেবের দীর্ঘ মূর্তি পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়েছে। অথচ উত্তর প্ৰদেশের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তথা বহুজন সমাজ পার্টির নেত্ৰী মায়াবতী বিষয়টি জেনেও কেন মুখে কুলুপ এঁটে আছেন। এই মায়াবতীই নিজেকে দলিতদের অভিভাবক ও ত্ৰাতা বলে দাবি করে থাকেন-উল্লেখ করেন শাহ।
কংগ্ৰেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের কড়া সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অভিযোগ করেন তাঁরা ক্যার বিরোধিতা করতে হয়ে বলেই করছেন। তাঁরা এই আইনের প্ৰয়োজনটা দেখছেন না।কারণ ভোটের রাজনীতিই তাদের কাছে সবকিছু। তাঁরা কি এটা জানেন যে স্বয়ং গান্ধীজি বলেছিলেন ‘পাকিস্তানে হিন্দুরা যদি নিরাপত্তাহীন মনে করেন ভারতের উচিত হবে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া’? ‘এই সমস্ত নেতারা শুধু কথাই বলে যাচ্ছেন,কখনো পড়াশোনা করে কোনও কিচুর গভীরে খতিয়ে দেখেননি’। অমিত শাহ বলেন,সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করারও প্ৰতিবাদ করেছিলেন বিরোধীরা। এতে এটাই বোঝা যায় যে পাক প্ৰধানমন্ত্ৰী ইমরান খানের সঙ্গে তাঁদের গাঁটছড়া রয়েছে। কারণ,বিরোধীদের এই বিরোধিতা রাষ্ট্ৰীয় স্বার্থে নয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন ৩৭০ ধারা রদের পর কাশ্মীর উপত্যকায় এখন সন্ত্ৰাসী কার্যকলাপ কমে এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করে শাহ বলেন,শরণার্থীদের মধ্যে দলিত বাঙালি পরিবারও রয়েছে,যাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ এর পরও ব্যানার্জি ক্যার বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ করেই চলেছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ ২২১ জন নব নিযুক্ত এফটি সদস্যের কাজ নিয়ে ‘বিভ্ৰান্ত’ দিশপুর
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: ‘Punya Dham Yatra’ flagged off at Kamakhya Railway Station