সংবাদ শিরোনাম

পাকিস্তান সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিক,জিন পিঙকে বললেন মোদি

Sentinel Digital Desk

বিষকেক(কিরগিস্তান): ‘শান্তিপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়তে হলে সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে পাকাপোক্ত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতেই হবে। কারণ পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্ৰাসী তৎপরতা আখেরে ভারতেরই ক্ষতি করছে’। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি বৃহস্পতিবার একথা বলেন। এখানে চিনের প্ৰেসিডেন্ট জি জিনপিঙের সঙ্গে আলোচনার সময় এই ইস্যুটি উঠে আসে।

প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,ভারত বরাবর পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু ওই সব প্ৰয়াস শেষপর্যন্ত ‘পথচ্যুত’ হয়েছে। এখানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের(এসসিও)শীর্ষ সম্মেলনে মোদি ও পিঙের বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে সাংবাদিকদের একথা জানান। ‘উভয়ের মধ্যে সন্ত্ৰাসবাদ ইস্যুতে খুব সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে’। পাকিস্তান এবং সেদেশের মাটিতে সন্ত্ৰাসবাদের শিকড় ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি মোদি ও পিঙের আলোচনায় উঠেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে গোখলে একথা বলেন।

‘প্ৰধানমন্ত্ৰী উল্লেখ করেছেন ভারতের অবস্থানে একটা ধারাবাহিকতা রয়েছে’-জানান বিদেশ সচিব।

‘পাকিস্তান সন্ত্ৰাস মুক্ত একটা পরিবেশ সৃষ্টি করুক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানকে তেমন কোনও পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখেনি’। প্ৰধানমন্ত্ৰী এই কথাগুলো পিঙের সামনে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছেন। মোদি পিঙের সামনে যে বার্তা তুলে ধরেছেন এই মুহূর্তে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত-পাক সম্পর্ক শুধরে যাক-চিনও তা চায়।

পাক ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈইশ-ই-মহম্মদ প্ৰধান মাসুদ আজহারকে সম্প্ৰতি রাষ্ট্ৰপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্ব সন্ত্ৰাসীর আখ্যা দিয়েছে। মাসুদকে বিশ্ব সন্ত্ৰাসী ঘোষণা করার জন্য ভারত বিশ্বজুড়ে চাপ দিয়ে আসছিল। এব্যাপারে প্ৰথম দিকে চিন বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছিল। রাষ্ট্ৰপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্ৰের মধ্যে চিন একটি। বিশ্বের চাপের মুখে চিন গত ১ মে মাসুদকে বিশ্ব সন্ত্ৰাসী ঘোষণায় সায় দেয়। তবে পাকিস্তানকে বন্ধু দেশ বলেই মনে করে চিন।

এদিকে ভারত থেকে কিছু নির্দিষ্ট সামগ্ৰী আমদানি করার ব্যাপারে চিন নীতি নিয়ম কিছু সহজ করবে। প্ৰেসিডেণ্ট জিনপিং প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদিকে আরও বলেছেন,এধরনের আরও কিছু পদক্ষেপ তিনি নেবেন। বিদেশ সচিব গোখলে একথা জানিয়ে বলেন,এবছরের শেষাশেষি প্ৰেসিডেণ্ট জিনপিং ভারত সফরে আসতে পারেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদি একটা অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠকের জন্য চিনা রাষ্ট্ৰপতিকে এবছর ভারত সফরে আসার আমন্ত্ৰণ জানিয়েছেন। চিনা রাষ্ট্ৰপতি ওই আমন্ত্ৰণ গ্ৰহণ করে বলেছেন ভারত-চিন সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য তিনি ভারত সফরে আসছেন।

দুই রাষ্ট্ৰনেতা উভয় দেশের বিভিন্ন সমস্যা এবং দুদেশের সম্পর্ককে একটা নতুন পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য সহমত পোষণ করেছেন-জানান বিদেশ সচিব গোখলে।

মোদি এবং জিনপিঙের এই বৈঠক সংক্ষিপ্ত হলেও তা যথেষ্ট সদর্থকই ছিল-উল্লেখ করেন বিদেশ সচিব।