সংবাদ শিরোনাম

অধিকার ও কর্তব্য একই মুদ্ৰার দু পিঠ,বললেন রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ

Sentinel Digital Desk

নয়াদিল্লিঃ ‘অধিকার এবং কর্তব্য একই মুদ্ৰার দু পিঠ’। রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন। রাষ্ট্ৰপতি বলেন,আমাদের কর্তব্য সম্পাদনের প্ৰয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে যা অধিকার রক্ষার বিষয়টি সক্ৰিয়ভাবে সুনিশ্চিত করবে। ভারতীয় সংবিধান গ্ৰহণের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সংসদের সেন্ট্ৰাল হলে আয়োজিত এক যৌথ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্ৰপতি কোবিন্দ এই মন্তব্য করেন।

‘অধিকার এবং কর্তব্য আসলে একই মুদ্ৰার দু পিঠ। সংবিধান আমাদের কিছু মৌলিক অধিকার দিয়েছে। দিয়েছে বাক ও প্ৰকাশের স্বাধীনতা। রাষ্ট্ৰের সম্পত্তি রক্ষা করা যেমন জনগণের কর্তব্য তেমনি হিংসা পরিহারেও নাগরিকদের জড়ানো হয়েছে এতে। সেইহেতু কেউ যদি বাক ও প্ৰকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে রাষ্ট্ৰের সম্পত্তির ক্ষতি সাধনে লিপ্ত হয় এবং অন্যদিক থেকে কোনও ব্যক্তি যদি এধরনের হিংসা ও অরাজকতা ঠেকাতে তাকে বাধা দেন তাহলে সেই ব্যক্তিকেই কর্তব্য পরায়ণ নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে হবে’-বলেন কোবিন্দ।

রাষ্ট্ৰপতি বলেন,‘আমাদের নিজেদের কর্তব্য পালন করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে যা সুষ্ঠুভাবে অধিকার রক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে’।

সাংসদদের প্ৰতি বক্তব্য রেখে কোবিন্দ বলেন,মানবতাবাদের ধারাকে উদ্ধীবিত করতে হবে যা নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। প্ৰত্যেকের প্ৰতি ধর্য্য ও সহমর্মিতা প্ৰদর্শন এই কর্তব্যেরই অংশ।

গুজরাটের মুক্তাবেন দাগলির প্ৰসঙ্গ তুলে রাষ্ট্ৰপতি বলেন,এবছর রাষ্ট্ৰপতি ভবনে আমি তাঁকে পদ্মশ্ৰী সম্মান দিতে পেরে গর্বিত হয়েছি। দাগলি ছেলে বেলায় নিজের দৃষ্টিশক্তি হারানো সত্ত্বেও তিনি থেমে যাননি। এই মহিলা তাঁর সারাটা জীবন অন্যের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি দৃষ্টিহীন বহু মেয়ের জীবনে আলো জ্বেলেছেন। তিনি তাঁর সংস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্ৰান্তের দৃষ্টিহীন মহিলাদের জীবনে আশার আলো সঞ্চার করেছেন। তাঁর মতো নাগরিকই আমাদের সংবিধানের আদর্শকে উর্ধ্বে তুলে ধরার প্ৰকৃত ও যোগ্য দাবিদার। এধরনের মানুষই রাষ্ট্ৰ নির্মাতার দাবি রাখতে পারেন।

কোবিন্দ সুপারিশ করেন সাংসদদের সবসময়ই তাদের শপথ গ্ৰহণের কথা স্মরণে রাখা উচিত। বলেন,‘মানুষের সেবায় আমাদের সর্বোচ্চ অগ্ৰাধিকার দেওয়া উচিত’।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Agitated locals protest against deplorable roads, gheraoes circle office in Kathigorah