সংবাদ শিরোনাম

রাজ্য বাজেট বিশ্লেষণঃ কি আছে ২০ লক্ষ বেকারের জন্য

Sentinel Digital Desk

এক তথ্য অনু্যায়ী রাজ্যে সাম্প্ৰতিক সময়ে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষেও ২০ লক্ষ? সংসদীয় বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি এমনই এক তথ্য অসম বিধানসভায় প্ৰকাশ করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য রাজ্যের জ্বলন্ত বেকার সমস্যার একটা চিত্ৰ ফুটিয়ে তুলেছে। কৃষি এবং ঔদ্যোগিকরণের ক্ষেত্ৰে দেশের অন্যান্য অনেক রাজ্যের তুলনায় অসম পিছিয়ে থাকার ফলে বেকার সমস্যা এহেন জটিল রূপ ধারণ করা নিয়ে চর্চা চলছে। অন্যদিকে,শুক্ৰবার বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতায় রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী ড.হিমন্তবিশ্ব শর্মা উল্লেখ করেছেন ২০১৬-১৭ সাল থেকে সোনোয়াল সরকার ২০১৯-২০ আর্থিক বছর পর্যন্ত ৩৭ হাজার যুবক-যুবতীকে সরকারি খণ্ডে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়াও বিগত চার বছরে ক্ষুদ্ৰ,অত্যন্ত ক্ষুদ্ৰ,মাঝারি এবং বৃহৎ উদ্যোগগুলিতে রাজ্যের দুই লক্ষাধিক যুবক-যুবতীকে প্ৰত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। মন্ত্ৰীর মতে, এই চার বছরে ২,৩৪,৯৩২ জন যুবক-যুবতী উদ্যোগ ক্ষেত্ৰে প্ৰত্যক্ষভাবে নিয়োগপত্ৰ লাভ করেছে।

অন্যদিকে,আসন্ন ২০২০-২১-এ রাজ্য সরকার সরকারি ক্ষেত্ৰে ৫৫ হাজার যুবক-যুবতীকে নিয়োগের লক্ষ্য স্থির করেছে। সেইহেতু সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষারত বহু যুবক-যুবতী হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য সরকার কৃষি ও পর্যটন ক্ষেত্ৰের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে তথা বিকাশের লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্ৰহণ করে বেকারদের স্বনিয়োজনের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। শুক্ৰবার বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্ৰী উল্লেখ করেন যে ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে কৃষকদের মধ্যে অতিরিক্ত ৮৫৫০ টি ট্ৰ্যাক্টর বিতরণের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। তাছাড়া চলতি বর্ষের ৩১ মার্চের মধ্যে সরকার ছয় লক্ষ কৃষকের জন্য ৩০০ কোটি টাকা রিলিজ করার লক্ষ্য স্থির করেছে বলে তিনি ঘোষণা করেছেন। একইভাবে পর্যটন ক্ষেত্ৰের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপও গ্ৰহণ করেছে সরকার। এধরনের পদক্ষেপগুলির অন্যতম হিসেবে মাজুলিতে হোটেল নির্মাণ,কামাখ্যায় রোপওয়ে বা ছোট পথ নির্মাণ ইত্যাদি প্ৰকল্প রাজ্য সরকার গ্ৰহণ করেছে বলে বাজেট ভাষণে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্ৰী। এভাবে এই সমস্ত স্থানে দেশি,বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের লক্ষ্য হিসেবে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে বেকারদের স্বনিয়োজনই সরকারের লক্ষ্য। এছাড়া লক্ষাধিক যুবক-যুবতীর দক্ষতা বাড়াতেও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য,২০১২ সালে রাজ্যে প্ৰথমবার অনুষ্ঠিত টেট উত্তীর্ণ কয়েক হাজার শিক্ষকের পাঁচ-সাত বছরের মধ্যেও চাকরি স্থায়ী হয়নি। ২০১৬ সালে বিধানসভার নির্বাচনের প্ৰাক্কালে বিজেপি শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিত করার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল যদিও এই প্ৰতিশ্ৰুতি পূরণে জোট সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্ৰতি প্ৰাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক টেটের ঘোষিত ফলাফলে কয়েক হাজার যুবক-যুবতী উত্তীর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যে এদেরও চাকরির প্ৰতিশ্ৰুতি দেওয়া হয়েছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Fully grown male elephant dies in Keroni Forest Range Office due to bad health