সংবাদ শিরোনাম

যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সবল হলে বাংলাদেশ ও উত্তর পূর্ব উপকৃত হবেঃ টিপু মুন্সি

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্ৰী টিপু মুন্সি মঙ্গলবার বলেছেন,উন্নত যোগা্যোগ ব্যবস্থা এবং জন সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল উভয়েই ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে। ‘তাই উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ও সম্প্ৰসারিত করতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’- বলেন মুন্সি।

এখানে রাজ্য সরকারের তরফে প্ৰথমবার আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ স্টেক হোল্ডার্স মিটে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। মুন্সি তাঁর ভাষণে অসম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশেষ আগ্ৰহ প্ৰকাশ করেন। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্কের শ্ৰীবৃদ্ধি হলে তাঁর দেশ এবং অসম সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলই উপকৃত হবে। পণ্য পরিবহণের স্বার্থে সম্প্ৰতি বাংলাদেশের চট্টগ্ৰাম ও মোংলা সমুদ্ৰ বন্দর ব্যবহার করা নিয়ে যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্ৰোসিডিওর(এসওপি)স্বাক্ষরিত হয়েছে সেটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্ৰে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে-বলেন তিনি।

গুয়াহাটির একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এই স্টেক হোল্ডার্স মিটে যোগাযোগ,বাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ করা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

মুন্সি বলেন,‘সিমলেস কানেকটিভিটির অভাব ভারত-বাংলাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্যরা দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্ৰে একটা বড় বাধা। সড়ক নির্মাণ ও অন্যান্য সু্যোগ সুবিধা বৃদ্ধি কল্পে দক্ষিণ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশনের অধীনে বেশ কিছু প্ৰকল্প এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও আমরা এই সব পদক্ষেপ থেকে সম্পূর্ণ ফায়দা তুলতে পারছি না’-বলেন মুন্সি।

তবে বাংলাদেশ এটা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করে আমাদের অঙ্গীকার থাকলে তা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্ৰসারণে অবশ্যই সহায়ক হবে। তবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সঠিক দিশায় এগোলে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত হবে এবং এরফলে গোটা এই অঞ্চল উপকৃত হবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই মিটে বক্তব্য রেখে বলেন,অসমের অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে যোগা্যোগ বৃদ্ধি পেলে বিকাশের পথ খুলে যাবে। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,এই বৈঠক উত্তর পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যোগাযোগের ক্ষেত্ৰে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন,আগে চা ও পেট্ৰোলিয়াম ব্ৰহ্মপুত্ৰ,পদ্মা ও মেঘনার জলপথ ব্যবহার করে চট্টগ্ৰাম ও কলকাতা বন্দরে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে যে রেললাইন রয়েছে সেগুলি সহ পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করা হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশের পথ খুলে যাবে।

মুখ্যমন্ত্ৰী এসওপি রূপায়ণেও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করার সুপারিশ করেন। এই মিটে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্ৰধানমন্ত্ৰীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান,ভারতের সড়ক পরিবহণ দপ্তরের প্ৰতিমন্ত্ৰী ভিকে সিং,রাজ্যের বাণিজ্য মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি ও অন্যান্যরা।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Broad daylight Smuggling of Timbers near Bordumsa-Pengri Road