সংবাদ শিরোনাম

হিংসাশ্ৰয়ী ঘটনার আড়ালে অদৃশ্য শক্তির হাত রয়েছেঃ হিমন্ত

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(সিএএ)বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে গুয়াহাটি মহানগরীতে হিংসাশ্ৰয়ী ঘটনা ও ভাঙচুর চালানোর পিছনে একটা অদেখা শক্তি জড়িত রয়েছে। মহানগরীতে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন,বরপেটা,নলবাড়ি এবং গোয়ালপাড়ার মতো নিম্ন অসমের জেলাগুলির কিছু লোক যাদের আন্দোলনের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই তারাই সিএএ-র বিরুদ্ধে গণতান্ত্ৰিক আন্দোলন চলাকালে গুয়াহাটিতে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। মন্ত্ৰী বলেন,কেন্দ্ৰীয় সরকার আন্দোলনকারী নেতাদের সঙ্গে যোগা্যোগ এবং তাদের দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য প্ৰক্ৰিয়া শুরু করেছে। তিনি বলেন,রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘন ঘন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে কার্ফু তুলে নেওয়া হবে। শীঘ্ৰই ইন্টারনেট সেবা খুলে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে খুলে দেওয়া হবে স্কুল-কলেজগুলিও-বলেন তিনি।

সোমবার এখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শর্মা বলেন,মহানগরীর শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেব কলাক্ষেত্ৰে,জনতা ভবন এবং হাতিগাঁওয়ে ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত বহু লোককে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের কয়েকজনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

ধৃতদের অধিকাংশই নিম্ন অসমের বরপেটা,নলবাড়ি ও গোয়ালপাড়ার। সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনে এদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এদের কারা উস্কেছে এবং কারাই বা অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির আড়ালে রয়েছে তাদের মুখোস খুলে দেওয়াই এখন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এই অদৃশ্য শক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সরকার একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে পারে-বলেন তিনি।

শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেব কলাক্ষেত্ৰে পৈশাচিক আক্ৰমণের ঘটনার ওপর আলোকপাত করে শর্মা বলেন,এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে জুবের আলম নামের একজন ব্যক্তি,যিনি একটি রাজনৈতিক দলের সক্ৰিয় সদস্য। তবে তাকে এখনও গ্ৰেপ্তার করা যায়নি। তিনি বলেন,অন্যান্য যাদের গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে তারা হলো অলকেশ দাস,করিমুদ্দিন আহমেদ,ওয়াহিম আহমেদ,নবাব মবিউল ঘানি,জাহাঙ্গির আহমেদ,নুববক্স আলি এবং শাহি খান। শর্মা বলেন,‘গুয়াহাটিতে হিংসাশ্ৰয়ী ঘটনায় কোনও স্থানীয় মানুষ জড়িত নয় এটা এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত হিংসাত্মক ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ নিজস্বভাবে ১৩৬টি মামলা নথিভুক্ত করেছে। মোট ১৯০ জনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। আরও কিছু লোককে গ্ৰেপ্তার করা হতে পারে’।

আন্দোলন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শর্মা বলেন,‘কার বিরুদ্ধে যারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে তাদের নিয়ন্ত্ৰণ করার কোনও কারণই আমরা দেখতে পাইনি। কারণ এটা তাঁদের গণতান্ত্ৰিক অধিকার। আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের দাবি মেটানোর চেষ্টা করছি। কেন্দ্ৰীয় সরকারও আন্দোলনকারীদের সান্নিধ্যে পৌঁছার চেষ্টা করছে’।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(সিএএ)গভীরে তলিয়ে না দেখে এক শ্ৰেণির মানুষ এসম্পর্কে গুজব ছড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করে শর্মা বলেন,কেন তারা সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলেছেন আমাদের তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাই আমি সবাইকে আবেদন জানাচ্ছি,আইনে যা কিছু অন্তর্ভুক্ত নয় তা নিয়ে গুজব ছড়াবেন না। তিনি আরও বলেন,কেউ কেউ বলছেন ক্যাব আইনে পরিণত হলে ১.৫০ কোটি বাংলাদেশি হিন্দু ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন,‘সরকারি হিসেব অনু্যায়ী এই আইন অনু্যায়ী,বড়জোর ৫.৪২ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন। আইনটি সম্পর্কে সমস্ত ভয়,শঙ্কা দূর করতে কেন্দ্ৰ রাজ্যের সমস্ত দাবিদারদের সঙ্গে আলোচনা করবে’।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: RD Junior College Students Stage Massive Protest against CAB