লখিমপুরঃ ‘আমরা আমাদের অস্তিত্বের জন্য আবার শপথ নেওয়ার সময় এসেছে। শতাব্দী ধরে চলে আসা যে শান্তি,ভ্ৰাতৃত্ব,একাত্মতা ও সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতি আমাদের বিরাজ করছে তা সুনিশ্চিত করতেই হবে। আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে যে কোনও ধরনের হুমকি,অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক রাজনীতির কাছে আমরা মাথা নোয়াবো না। আমরা মরবো কিন্তু জমি দেবো না(রক্ত দেবো কিন্তু দেশ দেবো না)’। বৃহস্পতিবার জোনাইয়ে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত সমাবেশে কথাগুলো বলেন আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ। তিনি অঙ্গুলি সঙ্কেত করে বলেন,‘রাজ্য বর্তমানে কিছু স্পর্শকাতর ইস্যুর সম্মুখীন হয়েছে’।
গত শতাব্দীতে ৮০-র দশকে বিদেশি বিতাড়ন কল্পে অসম আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের স্মৃতিতে এদিন শ্ৰদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন আসু নেতারা। স্থানীয় মানুষ এবং অসমিয়া সম্প্ৰদায়ের স্বার্থ রক্ষায় ও রাজ্যকে বাঁচাতেই ওই আন্দোলন হয়েছিল।
আসুর পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। এর আগে আসুর সভাপতি দীপাঙ্ক কুমার নাথ এবং বৃহত্তম ছাত্ৰ সংগঠনের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সভাপতি নাথ ও অন্যান্যদের এসকর্ট দিয়ে নিয়ে আসা হয় টাবুরাম টাইড সমন্বয় ক্ষেত্ৰে।
পতাকা উত্তোলনের পর আসু সভাপতি দীপাঙ্ক কুমার নাথ রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে সংগঠনের কাজকর্ম ক্ষিপ্ৰতার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে সংগঠনের সদস্যদের কাজে ব্ৰতী হওয়ার আহ্বান জানান। ইভেন্টের সমাপ্তি ঘোষণার আগে ‘সমন্বয়’ থিম নিয়ে জোনাই শহরে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বের করে আসু।
আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য রাজ্যের শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে সব শ্ৰেণির মানুষের মধ্যে সম্প্ৰীতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রাজ্যের প্ৰায় সব শ্ৰেণির মানুষ তাদের বর্ণাঢ্য সংস্কৃতিকে তুলে ধরে মিছিলে অংশ নেন।
বিশিষ্ট শিল্পী অরুণ হাজরিকা,মাধুরিমা চৌধুরী,বাবা দোলে,অমৃতা গগৈ,তনভি শর্মা,সিদ্ধার্থ শর্মা এবং রূপজ্যোতি কেওট কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এরপরই একটি জাতিগত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়,যা উদ্বোধন করেন ধেমাজির জেলাশাসক এনএস পাওয়ার।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ হাজেলার বদলির নির্দেশ সম্পর্কে সময় চেয়ে সুপ্ৰিম কোর্টকে প্ৰস্তাব কেন্দ্ৰের
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Fake pro-talk ULFA member apprehended in Digboi