নয়াদিল্লিঃ মোটা অঙ্কের আর্থিক নয়ছয়ের দায়ে সিবিআই আদালত বৃহস্পতিবার অসম সরকারের প্ৰাক্তন ডেপুটি সেক্ৰেটারি সহ ৯ জন অভিযুক্তকে তিন বছরের জন্য কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে।
সিবিআই কোর্টের বিশেষ বিচারপতি অসম সরকারের পশুপালন সেক্ৰেটারিয়েটের তদানীন্তন ডেপুটি সেক্ৰেটারি জিয়াউদ্দিন আহমেদ,গুয়াহাটির পশুপালন ডিরেক্টরেটের তদানীন্তন সঞ্চালক যুগল চন্দ্ৰ শইকিয়া,আইসিডিপি,হাউলির তদানীন্তন স্টোরকিপার হরেকৃষ্ণ দাস এবং আইসিডিপি হাউলি,ভেটেরিনারি ডিরেক্টরেটের অ্যাকাউন্টেন্ট এম রহমানকে তিন বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে। আদালত অভিযুক্ত প্ৰত্যেকের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও চাপিয়েছে।
আদালত এই মামলায় ইউএন গগৈ,কমলেশ ডেকা উভয়েই মেসার্স জি অ্যান্ড বি এন্টারপ্ৰাইজেস অ্যান্ড কোম্পানি,গুয়াহাটির ব্যবসায়িক শরিক,মেসার্স জ্যোতি ফার্মা,গুয়াহাটির মালিক পল্লব বরদলৈ,মেসার্স বিবি অ্যাসোসিয়েটস গুয়াহাটির সত্তাধিকারী অরূপ বৈশ্য এবং মেসার্স আসাম ড্ৰাগ হাউস,গুয়াহাটি,মেসার্স ইমপেরিয়েল ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড মেসার্স ড্ৰাগ সি-র সত্তাধিকারী অমরজ্যোতি বেজবরুয়া সহ বেসরকারি খণ্ডের ৫ ব্যক্তিকেও তিন বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে। এদের প্ৰত্যেকের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও চাপিয়েছে কোর্ট। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,সিবিআই ১৯৯৪ সালে আইপিসির ইউ/এস ১২০ বি, ৪২০,৪৬৭,৪৭১,৪৭৭এ, ২০১ ধারায় এবং ১৯৮৮-র পিসি আইনের ইউ/এস ১৩(২)আর/ডব্লিউ ১৩(১)আর/ডব্লিউ ১৩(১)(ডি)ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছিল।
মামলায় অভি্যোগ করা হয়েছিল বরপেটা ও হাউলিতে পশুপালন বিভাগের জেলা কার্যালয়ে এই সব কর্মকর্তারা কাজ করছিলেন। এরা রাজ্য সরকারের পশুপালন বিভাগকে প্ৰতারণা করার জন্য সাপ্লাইয়ারদের সঙ্গে ফৌজদারি ষড়যন্ত্ৰে লিপ্ত হয়েছিলেন বলে অভি্যোগ করা হয়েছে। পশু চিকিৎসা বিভাগের ওষুধপত্ৰ ক্ৰয়ের নামে আনুমানিক ১,২১,৩৫,৮৭৯.১৩ কোটি টাকা ভুয়া এলওসির মাধ্যমে নয়ছয় করার অভিযোগ ছিল এদের বিরুদ্ধে। মামলাটি নিয়ে তদন্তের পর সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ১৯৭৭ সালে। ট্ৰায়েল কোর্ট অভিযুক্তদের দোষী প্ৰমাণিত করেছিল।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অনুপ্ৰবেশকারীদের এক ইঞ্চি জমিও দেওয়া হবে নাঃ রঞ্জিৎ কুমার দাস
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Man dies after bike hits electric pole in Chirang District