নয়াদিল্লিঃ দিল্লির প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তথা প্ৰবীণ কংগ্ৰেস নেত্ৰী শীলা দীক্ষিত শনিবার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। শীলা দীক্ষিত তিন তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্ৰীর পদ অলংকৃত করেছেন। খবরে প্ৰকাশ,দিল্লির প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী দীক্ষিতকে অসুস্থ অবস্থায় আজ সকালে এসকর্টস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৯৩৮ সালের ৩১ মার্চ তাঁর জন্ম হয়েছিল। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত টানা ১৫ বছর তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্ৰীর পদে বহাল ছিলেন।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে তিনি আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন এবং পরে কেজরিওয়ালই শীলা দীক্ষিতকে সরিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্ৰী হন। উল্লেখ্য,২০১৩ সালের ওই নির্বাচন ছিল দীক্ষিতের শেষ নির্বাচন।
তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে সারা দেশে শোকের ছায়া পড়ে। সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই তাঁর মৃত্যুতে শোক প্ৰকাশ করেছেন। মেহবুবা মুফতি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা শোক প্ৰকাশ করেছেন তাঁর মৃত্যুতে। পোড়খাওয়া কংগ্ৰেস নেত্ৰী শীলা দীক্ষিত সর্বকালীন একজন সেরা রাজনীতিক ছিলেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদিও শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুতে শোক প্ৰকাশ করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শীলা দীক্ষিতকে সিটি ইউনিটের প্ৰেসিডেণ্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। অজয় মাকেন স্বাস্থ্যজনিত কারণে ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দীক্ষিতকে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছিল।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্ৰেসের নেতা রাহুল গান্ধী, ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী এবং অন্যান্যরা তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্ৰকাশ করেছেন। প্ৰয়াত প্ৰধানমন্ত্ৰী ইন্দিরা গান্ধী,রাজীব গান্ধীর আমল থেকে কাজ করে রাজনীতিতে প্ৰভূত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন দীক্ষিত। প্ৰত্যেক কংগ্ৰেস প্ৰধানের সঙ্গে কাজ করেছেন দীক্ষিত এবং দলের প্ৰতি কর্তব্য পরায়ণতার জন্য তিনি সবারই প্ৰিয় পাত্ৰী ছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্ৰী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এক টুইটে দীক্ষিতের মৃত্যুর জন্য তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। দীর্ঘদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্ৰীর পদে থাকা দীক্ষিত জন্মেছিলেন পঞ্জাবের কাপুরথলায় এক পাঞ্জাবি ক্ষত্ৰীয় পরিবারে। ইউনিভার্সিটি অফ দিল্লির মিরান্ডা হাউস থেকে স্নাতক ডিগ্ৰি অর্জন করেছিলেন দীক্ষিত।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকট,বিক্ষুদ্ধ বিধায়কদের পথ করে দিতে ২২ কংগ্ৰেসি মন্ত্ৰীর ইস্তফা