নয়াদিল্লিঃ দুর্নীতি এবং দুর্নীতিগ্ৰস্ত আধিকারিকদের কোনও ঠাঁই নেই মোদি সরকারের শাসন কালে। সুপারিনটেনডেন্টের মতো উঁচু পদে কর্মরত ২২ জন বরিষ্ঠ আধিকারিককে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে সরকার আবারও তাদের কথার সত্যতা প্ৰমাণ করলো। সেন্ট্ৰাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস(সিবিআইসি)দুর্নীতিগ্ৰস্ত ওই সব অফিসারকে বলপূর্বক অবসর নিতে বাধ্য করায়।
সিবিআইসি বলেছে,দুর্নীতিতে জড়িত ওই সব সিনিয়র সরকারি আধিকারিককে বলপূর্বক অবসর নিতে বাধ্য করানো হয়েছে জনস্বার্থের প্ৰতি লক্ষ্য রেখে। ভ্ৰষ্টাচার,দুর্নীতিতে জড়িত অফিসারদের বলপূর্বক অবসর নিতে বাধ্য করানোর এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। এরআগে গত জুনে ২৭ জন উঁচু পদের আইআরএস আধিকারিককে অবসরে যেতে বাধ্য করিয়েছিল সরকার। ওই তালিকায় সিবিডিটির ১২ জন অফিসার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,‘সেন্ট্ৰাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস(সিবিআইসি)আরও ২২ জন বরিষ্ঠ আধিকারিককে দুর্নীতি এবং অন্যান্য ঘটনায় জড়িত থাকায় অবসর নিতে বাধ্য করে জনস্বার্থের খাতিরে।
সরকার যে সমস্ত অফিসারদের অবসর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা হলেন কেসি মণ্ডল,এমএস দামোর,আরএস গোগিয়া,কিশোর প্যাটেল,জেসি সোলাংকি,এসকে মণ্ডল,গোবিন্দ রাম মালব্য,এইউ ছাপারগারে,এস আলোকারাজ,দীপক গানিয়ান,প্ৰমোদ কুমার,মুকেশ জৈন,নবনীত গোয়েল,অচিন্ত্য কুমার প্ৰামাণিক,ভিকে সিং,ডিআর চতুর্বেদী,ডি অশোক,লীলা মোহন সিং এবং ভিপি সিং।
দুর্নীতি ও এর শিকড় উপড়ে ফেলতে সরকার প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ আর এজন্যই দুর্নীতিগ্ৰস্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ বিভিন্ন মহলের প্ৰশংসা কুড়িয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে সরকারের চাকরিতে বহাল থেকে এধরনের দুর্নীতিতে জড়ানোর সাহস দেখাতে যেকোনও আধিকারিক দশবার ভাববেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়ার আহ্বান প্ৰধানমন্ত্ৰীর
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Former CM Tarun Gogoi expresses displeasure over NRC