ফোটো ও ভিডিওর সত্যতা কিভাবে নিরূপণ করা যেতে পারে?

ফোটো ও ভিডিওর সত্যতা কিভাবে নিরূপণ করা যেতে পারে?

সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফেসবুক এমন একটা মাধ্যম যেখানে সবাই বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। প্ৰতি মুহূর্তের স্মৃতি ধরে রাখতে বহু মানুষ ফোটো ও ভিডিও ইত্যাদি আপলোড করেন। কিন্তু কিছু অসাধু মনোবৃত্তির মানুষ এর মাধ্যমে কারো জীবন ধ্বংস করতে পারে। স্মার্ট ফোন ও ইণ্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই এর অপব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্ৰে কিছু পোস্ট খুবই আকর্ষিত হয়,যা চোখের পলকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালে বাদুরিয়ায় এমন ঘটনার ফলে সাম্প্ৰদায়িক সংঘর্ষের সূত্ৰপাত হয়েছিল। খারাপ বা আপত্তিজনক ফোটো শেয়ার করা বন্ধ করতে আমাদের কিছু পদক্ষেপ গ্ৰহণ করা প্ৰয়োজন।

আপত্তিজনক ফোটো শেয়ার করা বন্ধ করতে ফেসবুক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা লারনিং মডেলের মাধ্যমে এমন পোস্টগুলো সহজেই খুঁজে পেতে পারে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে। ফোটোগুলোর সত্যতা নিরূপণের জন্য একটা তৃতীয় দল নিয়োগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মেটাডাটা,সময় ও রিচার্জ এনালিস্ট ইত্যাদির সাহায্যে বিষয়টি নিরীক্ষণও করা যাবে।

অপটিক্যাল চরিত্ৰ শনাক্ত

ফেসবুকে ওসিআর নামে নতুন একটা প্ৰযুক্তি সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সব ফোটো ও ভিডিও-র যথার্থতা ধরা যাবে। এর মাধ্যমে প্ৰকৃত সময়ও পরীক্ষা করা সম্ভব। এই নয়া প্ৰযুক্তি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে ফোটো ও ভিডিও-র ইতিহাসের পাশাপাশি কণ্ঠস্বরও শনাক্ত করা যাবে। এটা ফ্যাক্ট চেকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ফ্ৰেমড

এধরনের কন্টেন্ট ফেব্ৰিকেটেড এবং মেনিপুলেটেড।

ভুয়া বাক্য(ফলস টেক্সট)

এই কণ্টেণ্ট ভুয়া,যার বাস্তবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।

মিসইণ্টারপ্ৰিটেশন

একটা প্ৰকৃত কণ্টেণ্ট কিন্তু বুঝতে না পারার মতো বিকৃতরূপে উপস্থাপন করে।

অসাধু কার্যকলাপ বন্ধ করতে ফেসবুকের সঙ্গে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এই নির্দেশনার ভিত্তিতে এগুলো বন্ধ করা যেতে পারে-

প্ৰথমত ফোটো ও ভিডিও সমূহে অসাধু মনোবৃত্তি পরিলক্ষিত হবে। সেগুলো শেয়ার করার প্ৰয়োজন নেই এবং যদি শেয়ার করা হয় তাহলে সেটা জনসচেতনার জন্য করা যেতে পারে।

নির্বাচনের সময় বিশেষ করে রাজনৈতিক খবর শেয়ার করার আগে এর সত্যতা যাচাই করতে হবে।

যেকোনো রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন প্ৰকাশ করার আগে প্ৰকৃত তথ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। গোপনীয়তা সম্পর্কে শুধু একজনকে জ্ঞাত হতে হবে। যদি কেউ আপত্তিজনক পোস্ট আপনার অ্যাকাউণ্টে শেয়ার করে তেমন ব্যক্তিকে ব্লক করার সঙ্গে রিপোর্ট করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া যদি বিতর্কিত পোস্ট আপলোড করে তাহলে উৎসের নাম যেন সন্নিবিষ্ট করে।

ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ভুয়া খবর পরিবেশন করার ওপর দৃষ্টি দিচ্ছে। এই ক্ষেত্ৰে আমাদের সাহা্য্য করা উচিত। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে শেয়ার করার আগে এবং যদি কোনও অসাধু চক্ৰ পোস্ট দেয় সেগুলি শেয়ার করতে হবে না এবং এব্যাপারে জনসচেতনতা খুবই জরুরি।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com