কলকাতাঃ কেন্দ্ৰীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্ৰী রমেশ পোখরিয়াল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ)নিয়ে গলা চড়ালেন। কেন্দ্ৰীয় আইনটির বিরোধিতা করায় বাংলার মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা ব্যানার্জিকে সমালোচনা করতেও দেখা গেলো তাঁকে। পোখরিয়াল দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেন মোদির জমানায় ধর্মকে নিয়ে কোনও ভেদাভেদ রেখা টানা হচ্ছে না। তিনি বলেন,দেশের কোনও শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানে রাজনৈতিক রং চড়ানোর প্ৰয়াস বরাদাস্ত করবে না কেন্দ্ৰীয় সরকার। রবিবার কলকাতায় এই হুঁশিয়ারিই দেন পোখরিয়াল। উল্লেখ্য,সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন করছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ৰরা। দিল্লি,লখনৌ,বেঙ্গালুরুর সঙ্গে প্ৰতিবাদ চলছে পশ্চিমবঙ্গেও। ছাত্ৰছাত্ৰীরা ওই আইনের বিরোধিতায় ব্যানার,ফেস্টুন নিয়ে প্ৰতিবাদে সরব হয়েছে।
কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্ৰেসিডেন্সি কলেজের ছাত্ৰরা আন্দোলন করছে ক্যা,এনআরসির বিরুদ্ধে। তাদের দাবি ক্যা,এনআরসি অবিলম্বে প্ৰত্যাহার করে নেওয়া হোক। পোখরিয়াল বলেন,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়কে এধরনের রাজনীতি থেকে দূরে রাখাই শ্ৰেয়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন,এধরনের কাজকর্ম সহ্য করবে না মোদি সরকার।
সম্প্ৰতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের প্ৰবল প্ৰতিবাদের মুখে পড়তে হয় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীশ ধনকরক। ছাত্ৰরা ধনকরকে বিজেপি-র প্ৰতিনিধি বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়েই বিপাকে পড়তে হয়েছিল ধনকরকে।
পোখরিয়াল আরও বলেন,দেশের মুসলিমদের বড় শুভাকাঙ্খী হচ্ছেন মোদি। তিনি বলেন,দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় এদেশে বসবাস করতেন ৯ শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষ,এখন এই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে পোখরিয়াল বলেন,২০০৫ সালে অনুপ্ৰবেশ নিয়ে সংসদে সোচ্চার হয়েছিলেন মমতা। কিন্তু এখন তিনি এর বিরোধিতা করছেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সিএএ-র বিরোধিতায় উ.প্ৰদেশে সোশিয়েল মিডিয়ায় ২০ হাজার পোস্ট,ধৃত ১২৫
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Cotton University Students take out postering campaign as a gesture of protest against CAA 2019