জম্মুঃ জম্মু ও কাশ্মীরে একটি মিনিবাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষেও ৩২ জন নিহত এবং অন্যান্য ১৮ জন আহত হন। সোমবার সাত সকালে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্ৰী ঠাসা মিনি বাসটি পাহাড়ি সড়ক থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। কিস্তওয়ার জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্ৰেট অ্যাংরেজ সিং রানা বলেন,দুর্ঘটনায় ৩২ জন মানুষ প্ৰাণ হারান এবং আহত হন অন্যান্য ১৮ জন। অভিশপ্ত মিনি বাসটির নম্বর হচ্ছে ১৭/৬৭৮৭। কিস্তওয়ার জেলার শির্গওয়ারির কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানাচ্ছে,দুর্ঘটনার প্ৰকৃত কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা শোচনীয় বলে জানা গেছে। তবে বাসটিতে ব্যাপক সংখ্যক যাত্ৰী তোলার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাড়তি যাত্ৰী তুলে বাসটি নিয়ন্ত্ৰণ হারিয়ে পথপাশের গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে।
উদ্ধার অভি্যান শুরু হয়েছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহতদের জম্মু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বাসটি পাহাড়ি পথ থেকে ছিটকে খাদে পড়ার পর মুহূর্তেই স্থানীয় মানুষ ছুটে যান দুর্ঘটনা স্থলে। তারাই অতি কষ্টে আহতদের উদ্ধার অভিযান চালান। আহতদের বেশকজনকে কিস্তওয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাশ্মীরের পাহাড়ি রাস্তা থেকে বাস বা অন্যান্য গাড়ি খাদে গড়িয়ে পড়ার এটা প্ৰথম ঘটনা নয়। এর আগেও বহুবার এধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে এখানে। দিন কয়েক আগে মুঘল রোডে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পুঞ্চের ১১টি স্কুল ছাত্ৰ প্ৰাণ হারিয়েছিল। যে টেম্পোতে ছাত্ৰগুলি সওয়ার হয়েছিল সেটি তীব্ৰ গতিতে চালানোর জন্য নিয়ন্ত্ৰণ হারিয়ে পথ থেকে ছিটকে খাদে গড়িয়ে পড়েছিল মুখ থুবড়ে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১১টি স্কুল ছাত্ৰ মারা যায়। নিহত ১১ জনের মধ্যে ৯ জন ছিল স্কুল ছাত্ৰী।
জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল প্ৰদেশের পাহাড়ি পথে চলাচলের সময় গাড়ি চালানোর নিয়ম নীতিগুলো চালকরা সঠিকভাবে মানছেন না। যার দরুন এধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে এবং প্ৰাণ হারাতে হচ্ছে নিরীহ লোকেদের। দুর্ঘটনায় মিনি বাসটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ কাশ্মীরে সক্ৰিয় দশ শীর্ষ জঙ্গির তালিকা প্ৰকাশ করলো স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক