অসমে প্ৰতিদিন স্ট্ৰোকে মৃত্যু হয় ৫০ জনের!

অসমে প্ৰতিদিন স্ট্ৰোকে মৃত্যু হয় ৫০ জনের!
Published on

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে ৫ হাজারের বেশি লোক হৃদ রোগে আক্ৰান্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এ রাজ্যে প্ৰতিদিন প্ৰায় ৫০ জন ব্যক্তি স্ট্ৰোকে প্ৰাণ হারাচ্ছেন।

সূত্ৰটি দ্য সেন্টিনেলকে বলেছে,গত ২০ বছরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল রেকর্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে রাজ্যে প্ৰতি ঘণ্টায় স্ট্ৰোকে আক্ৰান্ত হয়ে পাঁচ জনের মধ্যে দুজন ব্যক্তি অথর্ব হয়ে পড়েন। হাইপারটেনশন অথবা উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগ ও স্ট্ৰোকে আক্ৰান্ত হওয়ার একটি প্ৰধান কারণ। রাজ্যে প্ৰতিদিন এজাতীয় রোগে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্ৰান্ত হচ্ছেন।

‘আগে ৫০ ঊর্ধ্ব মানুষই স্ট্ৰোকে ভুগতেন,কিন্তু এখন ৪০ বছররেরও কম বয়সীরা স্ট্ৰোকে আক্ৰান্ত হচ্ছেন অনিয়মিত জীবন যাপনের জন্য’। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের একজন বরিষ্ঠ চিকিৎসক একথা জানান।

চিকিৎসক সতর্ক করে দিয়ে বলেন,সরকার এবং বেসরকারি সংগঠনগুলি এই রোগের কারণ,প্ৰাথমিক লক্ষণ এবং এজাতীয় মারাত্মক রোগ প্ৰতিরোধে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে সে ব্যাপারে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা অভিযান শুরু না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে।

সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের মতে,সাম্প্ৰতিক বছরগুলিতে হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগ অনেক বেড়ে গেছে। মডিফায়েবল এবং নন মডিফায়েবল দুটোই পক্ষাঘাতের কারণ হতে পারে। মডিফায়েবল ফ্যাক্টরের মধ্যে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেগুলো হলো হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগ,ডায়বেটিস ডাইশ্লিপিডিমিয়া(হাই কলেস্টেরল লেভেল)এবং এর সঙ্গে জীবন ধারার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য বিষয় যেমন ধূমপান, নিম্ন মানের পথ্য এবং মদ ইত্যাদি। তবে স্বাস্থ্যের অবস্থার প্ৰতি লক্ষ্য রেখে এবং সংযত জীবনধারার মাধ্যমে স্ট্ৰোক জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্ৰণ করা যেতে পারে। বয়স এবং জেন্ডারের মতো নন মডিফায়েবল ক্ষেত্ৰগুলোতে কোনও পরিমার্জন করা যায় না। একটি বেসরকারি হাসপাতালের জনৈক বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা.এ আলি একথা জানান।

‘মডিফায়েবল ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে হাইপারটেনশন হচ্ছে স্ট্ৰোকের প্ৰধান কারণ। এটা নিয়ন্ত্ৰণ করতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। একটা স্বাস্থ্য সম্মত জীবনধারা,প্ৰতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম এবং প্ৰতিদিন আধঘণ্টা হাঁটা এবং পুষ্ঠির মাত্ৰা কম থাকা খাদ্য গ্ৰহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্ৰণে রাখা যেতে পারে-বলেন ডাক্তার আলি। তিনি আরও বলেন, স্ট্ৰোকের সঙ্কেতগুলো হচ্ছে চোখে মুখে হঠাৎ দুর্বলতা,হাত অথবা পা বিশেষ করে একপাশে দুর্বলতা অনুভব করা,বিভ্ৰান্তি অথবা অন্য ব্যক্তিকে বুঝতে অসুবিধা হওয়া,কথা বলতে অসুবিধা অনুভব করা,এক বা দুই চোখে দেখতে অসুবিধা হওয়া,হাঁটতে অসুবিধা বা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা,অবসাদ এবং প্ৰচণ্ড মাথাব্যথা ইত্যাদি। অজ্ঞাতেই এই লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দিতে পারে।

‘এজাতীয় রোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে মানুষ যদি সচেতন হন তাহলে অনেক জীবন বেঁচে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে,কেউ যদি স্ট্ৰোকের লক্ষণ বুঝে যান তাহলে সেই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট নিতে হবে। এটা রক্ত জমাট বাধা প্ৰতিরোধ করে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো স্ট্ৰোকের লক্ষণ বোঝা।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com