বার্মিংহামে টিম ইন্ডিয়ার ‘বিশেষ ফ্যান’ ৮৭ বছর বয়স্কা বৃদ্ধার আশীর্বাদ বিরাটকে

বার্মিংহামে টিম ইন্ডিয়ার ‘বিশেষ ফ্যান’ ৮৭ বছর বয়স্কা বৃদ্ধার আশীর্বাদ বিরাটকে

গুয়াহাটিঃ মঙ্গলবারের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় তুলে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া আইসিসি বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। বার্মিংহামের ম্যাচ জিতে টিম ইন্ডিয়া সেমিতে ঠাঁই পেলেও এদিনের এই ম্যাচটা আরও একটি কারণে ভারতীয় দল ও দর্শকদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এদিন টিম ইন্ডিয়ার ‘বিশেষ ফ্যান’ হিসেবে মাঠে সশরীরে হাজির ছিলেন অনাবাসী এক ভারতীয় বৃদ্ধা,নাম তাঁর চারুলতা প্যাটেল। বয়স ৮৭-র কোঠায়। এই বয়সে মাঠে বসে নিজের দেশের দামাল ছেলেদের খেলা দেখলেন। টিম ইন্ডিয়ার জয় হলেন উৎফুল্লিত। দুহাত উজাড় করে আশীর্বাদ করলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে। টিম ইন্ডিয়ার প্ৰতি ব্যক্ত করলেন তাঁর আন্তরিক ভালবাসা ও দেশাত্মবোধ।

বার্মিংহাম স্টেডিয়ামে এদিন চারুলতা প্যাটেলই ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ ফ্যান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর সবচেয়ে ফেবারিট দল টিম ইন্ডিয়ার জয়ে উল্লসিত তিনি। মাঠে উপস্থিত অন্যান্য দর্শকদের সঙ্গে হুইসেল বাজিয়ে এবং নেচে আত্মহারা হলেন। মহিলার এই ক্ৰীড়া সুলভ মানসিকতা অনেকেরই নজর কেড়ে নিলো। ক্যামেরাও তাক করা ছিল তাঁর দিকে। মহিলার এই আনন্দ উচ্ছ্বাস টিম ইন্ডিয়াকে এগিয়ে যেতে আরও উৎসাহিত করবে সেটা নিশ্চিত।

খেলা শেষ হতেই টিম ইন্ডিয়ার মুখে তখন বিজয়ীর হাসি। চারুলতা তখন দলের স্টার খেলোয়াড় বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার সঙ্গে দেখা করার প্ৰতীক্ষায়। কোহলি ও রোহিত এলেন অশীতিপর বৃদ্ধার কাছে। চেয়ে নিলেন তাঁর আশীর্বাদ। বৃদ্ধাও দুহাত ভরে তাঁদের ভরিয়ে দিলেন আশীর্বাদে। চিবুক ছুঁয়ে দুজনকে দিলেন ভালবাসাও। পরে চারুলতা প্যাটেল তাঁর জীবন ও ম্যাচে দেখতে আসা ও টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বললেন,১৯৭৫ সাল থেকে তিনি ইংল্যান্ডে রয়েছেন। এর আগে তিনি আফ্ৰিকায় থাকতেন। বলেন,টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি মুখিয়ে ছিলেন যদিও কোনও সু্যোগ পাচ্ছিলেন না। টিভি-র পর্দায় নীল দল ইন্ডিয়ার খেলা দেখছেন এই যা। কিন্তু এবার সত্যি সত্যি সেই সু্যোগ এলো,নিজের ফেবারিট দলকে কাছে থেকে মন ভরে দেখার। মহিলা বলেন,তিনি এখন আর কাজ করেন না। চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন সেই কবেই। নিজের দেশ নিয়ে তিনি সবসময়ই গর্বিত,যদিও ভারতের মাটিতে তাঁর জন্ম হয়নি। তবে তাঁর অভিভাবকরা ভারতের। তাই তাঁর শরীরে বইছে ভারতীয় রক্ত। ভারতের মানুষের সঙ্গেও তাঁর রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক।

কোহলিকে পাশে পেয়ে বেশকিছু কথা বললেন,হাসলেন এবং আশীর্বাদ ও ভালবাসায় ভরিয়ে দিলেন টিম ইন্ডিয়ার ছেলেদের। ম্যাচের বাইরে এই মুহূর্তটা ছিল বৃদ্ধার কাছে একান্ত আপনার ও অন্তরঙ্গতার। এই আশীর্বাদ ও ভালবাসাকে পাথেয় করে সেমিতে টিম ইন্ডিয়া ভাল কিছু করে দেখাতে উৎসাহিত হবে এমনটাই আশা করা যায়।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com