চার বছর একই স্থানে অপেক্ষার পর অবশেষে মালিককে খুঁজে পেলো লিও

চার বছর একই স্থানে অপেক্ষার পর অবশেষে মালিককে খুঁজে পেলো লিও

টানা চার বছর একই স্থানে অপেক্ষার পর অবশেষে লিও খুঁজে পেলো তাঁর মালিককে। আমরা যখন মন থেকে কিছু পেতে চাই তখন হয়তো যেকোনও ক্ষেত্ৰেই আমরা সাফল্যের মুখ দেখতে পারি। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে থাইল্যান্ডে। নিজের প্ৰিয় মনিবের অপেক্ষায় চার বছর একই স্থানে অপেক্ষা করেছে একটা কুকুর। কুকুরটির একটাই আশা ছিল তার মালিক একদিন আসবেন এবং তাকে নিয়ে যাবেন। সংবাদ মাধ্যমের এক বিশেষ তথ্য অনু্যায়ী,থাইল্যান্ডের খনকেইন নামের জেলায় স্থানীয় মানুষ নির্দিষ্ট একটা স্থানে চার বছর ধরে একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছেন কুকুরটিকে।

সংবাদ মাধ্যমে প্ৰকাশিত খবর অনু্যায়ী কুকুরটির নাম লিও। চার বছর পথের পাশে দাঁড়িয়ে মালিকের প্ৰতীক্ষা করছে সে।

এদিকে প্ৰত্যক্ষদর্শীরা গোড়াতে এটাকে বুনো কুকুর বলে ভেবেছিলেন। তবে কুকুরটিকে ওভাবে ঠাঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাকও হয়েছিলেন স্থানীয় মানুষ। কুকুরটি সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়ার আশায় জনৈক ব্যক্তি কুকুরটির ছবি তুলে তা সোসিয়েল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। এরপরই একজন হৃদয়বান মহিলা এসে কুকুরটিকে সঙ্গে নিয়ে যান। কুকুরটিকে বেশ আদর যত্ন করেই রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু লিও ওই মহিলার বাড়িতে দুদিন থাকার পর ফের আগের জায়গায় চলে আসে।

অন্যদিকে লিও দিন রাত এক করে চার বছর একই স্থানে অপেক্ষা করার ওই ছবিটি সোশিয়াল মিডিয়ায় জোর গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপরই একজন যুবতী এই ছবি তার ৬৪ বছর বয়সী মা নেং নৈ-কে দেখান। ছবি দেখেই নেং নৈ আবেগিক হয়ে পড়েন এবং মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে লিও যেখানে প্ৰতীক্ষায় রয়েছে সেখানে গিয়ে উপনীত হন। নেং নৈ নামের ওই মহিলার কাছ থেকে লিও-র কিভাবে বিচ্ছেদ ঘটেছিল সেকথাও খুলে বলেন।

মহিলাটি আরও বলেন,২০১৬ সালের ১৬ ফেব্ৰুয়ারি তিনি বনবনে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ওই সময় লিও তার সঙ্গে ছিল। কিন্তু রেল গাড়ি লাইনে আটকে রাখার সময় লিও গাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে লিও-র সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে। এরপরেও মহিলাটি লিওকে খুঁজেছেন। কিন্তু কোনও হদিশ পাননি। তবে সম্প্ৰতি আদরের লিওকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন। এই ঘটনা হৃদয়বান মানুষের অন্তর স্পর্শ করেছে।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AKRSU staged 12 hour Assam Bandh today

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com