গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিলের(ক্যাব)বিরুদ্ধে সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)সোমবার রাজ্যজুড়ে প্ৰতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে। ছাত্ৰ সংগঠনটি সরকারকে এই বলে সতর্ক দিয়েছে যে,বিতর্কিত ওই বিলটি যেন জোর করে অসমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়। এব্যাপারে ছাত্ৰ সংগঠনটির যুক্তি একেবারেই পরিষ্কার এবং সোজা। আসুর মতে,বিতর্কিত এই বিল পাস হলে স্থানীয় খিলঞ্জিয়া মানুষের সর্বোচ্চ অধিকার ও অগ্ৰণী ভূমিকার অবসান ঘটাবে।
ক্যাবের বিরুদ্ধে আসু রাজ্যের ভিতরে ও বাইরে প্ৰতিবাদ জানিয়ে আসছে। অন্যদিকে,বিল নিয়ে বিজেপি-র অবস্থান একেবারেই পরিষ্কার। বিজেপি গোড়া থেকেই বলে আসছিল ক্ষমতায় এলে তারা সংসদে ক্যাব আনবেই। ‘বিলের বিরুদ্ধে আসুর আন্দোলন এবং বিজেপি সংসদে ক্যাব আনবে বলে খোলাখুলি ঘোষণা করা সত্ত্বেও রাজ্যের মানুষ প্ৰতিটি নির্বাচনে বিজেপিকেই ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। এতে কী সূচিত করে? জনরায় পাওয়ায় বিজেপি কি ক্যাবের বিরোধিতাকারী সংগঠনগুলোর আওয়াজ শুনবে। তাই এক্ষেত্ৰে একটা অস্পষ্টতা থেকেই যাচ্ছে’।
বিষয়টি নিয়ে দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেন,জনগণ বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অর্থ এই নয় যে তারা ক্যাবের বিরোধিতা করবেন না। রাজ্যের মানুষ বিভিন্ন কারণে বিজেপিকে জোট দিচ্ছেন। কারণ রাজ্যের ভোটারদের কাছে বিজেপির মতো কার্যকরী বিকল্প নেই। আঞ্চলিক কোনও দলই বিজেপির নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্ৰমাণ করতে পারেনি। এছাড়াও রাজ্যের গরিব মানুষ সরকারের বিভিন্ন প্ৰকল্পের সুবিধা থেকে উপকৃত হচ্ছেন। রাজ্য সরকার প্ৰতি কেজি চাল ১ টাকা দরে গরিবদের দিচ্ছে। ‘প্ৰত্যেক কৃষক ৬ হাজার টাকা এবং চা শ্ৰমিকদের ৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে। তবে সরকারের এসব প্ৰকল্পে কৃষক অথবা চা শ্ৰমিকদের জীবনে দীর্ঘ মেয়াদি কোনও পরিবর্তন আনবে না। সরকারের এধরনের উদারতা ভবিষ্যতে রাজ্যে উৎপাদনশীলতা হ্ৰাস করবে’।
ক্যাব রুখতে জনসচেতনতার প্ৰসঙ্গ উত্থাপন করে গগৈ বলেন,‘এটা সত্য যে ক্যাবের পরিণাম সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করতে আমরা একশো শতাংশ সফল হইনি। ক্যাবের পরিণাম সম্পর্কে সর্বস্তরের মানুষজনকে সচেতন করতে আমাদের অগ্ৰণী ভূমিকা নিতে হবে। ক্যাব সম্পর্কে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করে তোলা সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের দায়িত্ব নয় কি?
আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন,সংসদে বিজেপির গরিষ্ঠতা রয়েছে। তাই তারা জোর করে আমাদের ওপর ক্যাব চাপিয়ে দিতে পারে। আমরা ক্যাব মানবো না। হিন্দু-মুসলিম বাংলাদেশিদেরই অসমে আশ্ৰয় দিতে চাওয়া হচ্ছে ক্যাবের মাধ্যমে।
আসুর সভাপতি দীপাঙ্ক কুমার নাথ বলেন,১৯৭১-এর আগে আসা অনুপ্ৰবেশকারীদের বোঝা আমরা নিয়েছি। তাই ৭১-এর পরে আসা বিদেশিদের বোঝা আর আমরা বইতে পারবো না-তারা হিন্দু অথবা মুসলিম যেই হোক না কেন।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ হাজেলাকে ডেপুটেশনে বদলির সিদ্ধান্তে কেন্দ্ৰের অনুমোদন,ঝুলে রইলো রিজেকশন অর্ডার
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: CM Sonowal flagged off 15 electric buses under ASTC in Guwahati