অসমিয়াদের আশা আকাঙ্খাকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে উচ্চস্তরীয় কমিটির রিপোর্টেঃ লুরিন

অসমিয়াদের আশা আকাঙ্খাকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে উচ্চস্তরীয় কমিটির রিপোর্টেঃ লুরিন

গুয়াহাটিঃ সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ,যিনি অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণে গঠিত ১৪ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির একজন সদস্য। কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে লুরিন বলেছেন,রাজ্যের মানুষের আশা আকাঙ্খা যাতে প্ৰতিফলিত হয় সেদিকে গুরুত্ব দিয়েই কমিটি তার রিপোর্ট স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের(এমএইচএ)এর কাছে পেশ করার চেষ্টা করবে।

দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে কথা বলার সময় গগৈ বলেন,কমিটি তার রিপোর্টে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক,ভাষিক,সাংস্কৃতিক এবং অন্যন্য অধিকার যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই বিষয়গুলো সুনিশ্চিত করতে বিশেষ যত্ন নেবে। আর এর জন্য কমিটি রাজ্যের বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠী,সংগঠন ও সম্প্ৰদায়ের মতামত ও পরামর্শ চেয়েছে। এখন পর্যন্ত অনেক সংগঠন উচ্চ স্তরীয় কমিটির কাছে তাদের স্মারকপত্ৰ দাখিল করেছে। সব প্ৰধান দাবিদারদের সঙ্গে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করা হবে-বলেন গগৈ। তিনি আরও বলেন,‘ঐতিহাসিক আসম চুক্তির ৬নং দফা যথাযথ ও সঠিকভাবে রূপায়ণ করা হলে তা রাজ্যের মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পারবে’।

এদিকে,উচ্চস্তরীয় কমিটি আরও তিনটি শর্ত অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যে প্ৰস্তাব পাঠিয়েছিল সে ব্যাপারে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের(এমএইচ)কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো ওই তিনটি শর্ত হচ্ছে জমির উপর স্থানীয় মানুষের পূর্ণ অধিকার,সংসদে আসন এবং কেন্দ্ৰীয় সরকার,রাষ্ট্ৰায়ত্ত প্ৰতিষ্ঠান(পিএসইউ)ও অন্যান্য বেসরকারি প্ৰতিষ্ঠানের চাকরিতে অসমিয়াদের জন্য আসন সংরক্ষণ ইত্যাদি। কমিটির শর্তে এই প্ৰস্তাব সমূহ তুলে ধরা হয়েছে। সূত্ৰটির মতে,কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক এই তিনটি ইস্যু নিয়ে দিশপুরের মতামত চেয়েছে এবং রাজ্য সরকারও এব্যাপারে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰককে তাদের মতামত জানিয়েছে। তবে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰক অতিরিক্ত এই তিনটি শর্ত সম্পর্কে তাদের মতামত এখনও উচ্চ পর্যায়ের কমিটিকে কিছুই জানায়নি। সূত্ৰটির মতে,স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক এই তিনটি অতিরিক্ত শর্ত সম্পর্কে এখন অবধি কোনও সাড়া না দিলেও উচ্চ স্তরীয় কমিটি এই তিনটি অতিরিক্ত ইস্যু নিয়ে সমস্ত দাবিদারদের মতামত ও শলা পরামর্শ নিতে চলেছে।

‘ঐতিহাসিক অসম চুক্তির ৬নং দফায় অসমিয়া মানুষের সাংবিধানিক,আইনগত এবং প্ৰশাসনিক রক্ষাকবচের কথা বলা হয়েছে। আর উল্লেখ করা হয়েছে অসমিয়া মানুষের সুরক্ষা,সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন,সামাজিক,ভাষিক অস্তিত্ব ও অসমের পরম্পরা যথা্যথাভাবে রক্ষা করার বিষয়গুলি।

লুরিন আরও বলেছেন,বিদেশি নাগরিক সমস্যার সমাধানে আসম চুক্তিতে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ শেষ রাত পর্যন্ত যে কাট অফ ডেট বেঁধে দেওয়া আছে তার ভিত্তিতেই বিদেশিদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করতে হবে। আসু তাদের এই অবস্থান থেকে এক চুলও সরে আসবে না।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: AASU along with 30 other indigenous organizations hold a meeting in Guwahati

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com