জাপানি এনকেফেলাইটিসের ক্ষেত্ৰে অত্যন্ত স্পর্শকাতর রাজ্যের রূপ নিয়েছে অসম

জাপানি এনকেফেলাইটিসের ক্ষেত্ৰে অত্যন্ত স্পর্শকাতর রাজ্যের রূপ নিয়েছে অসম
Published on

গুয়াহাটিঃ ২০১৩ সাল থেকে রাজ্যে প্ৰতি বছরই জাপানি এনকেফেলাইটিসে(জেই)বেশকিছু লোকের মৃত্যু হচ্ছে। বর্তমানে জাপানি এনকেফেলাইটিসের জন্য দেশের মধ্যে একটা স্পর্শকাতর রাজ্যে পরিণত হয়েছে অসম। বছর কয়েক আগে এই রোগ উজান অসমের কয়েকটি জেলায় সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন নিম্ন অসম ও বরাক উপত্যকায়ও এই রোগের প্ৰাদুর্ভাব ঘটেছে। জাপানি এনকেফেলাইটিস রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০১৩ সালে জাপানি এনকেফেলাইটিসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছিল ১৩৪ জনের। ২০১৪ সালে মারণ রোগ কেড়ে নেয় ১৬৫ জনের জীবন। ২০১৫-তে ১৩৫ ও ২০১৬ সালে ৯২ জন মৃত্যু মুখে পড়েন। ৮৭ জন মারা যান ২০১৭ তে। ২০১৮ তে এনকেফেলাইটিসে মৃত্যু হয় ৯৮ জনের।

সূত্ৰটি দ্য সেন্টিনেলকে বলেছে,জাপানি এনকেফেলাইটিসে মৃত্যু হওয়া লোকেদের যে সমস্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি সেগুলি ধরলে সরকারি হিসেবের চেয়ে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। এবছর এই রোগের থাবায় ইতিমধ্যেই ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০১৫ সাল পর্যন্ত এই রোগ উজানের কয়েকটি জেলায় সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এখন নিম্ন অসম এবং এমনকি বরাক উপত্যাকায়ও থাবা বসাচ্ছে এই রোগ। ফলে গোটা রাজ্যেই এই রোগের ক্ষেত্ৰে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে-বলেছে সূত্ৰটি।

কেন্দ্ৰীয় স্বাস্থ্য মন্ত্ৰকের তথ্য অনু্যায়ী পশ্চিমবঙ্গ,উত্তর প্ৰদেশ এবং বিহারের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে জাপানি এনকেফেলাইটিস সীমাবদ্ধ রয়েছে।

গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের একজন বরিষ্ঠ চিকিৎসক বলেন,রোগ যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে গোটা রাজ্যই এর কবলে পড়ার আশংকা রয়েছে। তাই চিকিৎসা বিভাগের কাছে এটা একটা নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে-বলেন তিনি।

বুনো জলজ পাখি,মশা ও শুয়োর থেকে এই রোগের জীবাণু ছড়াচ্ছে। ‘মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্ৰণ ও শুয়োর ইত্যাদিকে বিচ্ছিন্ন রেখে এই রোগ প্ৰতিরোধ করা যেতে পারে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি লম্বা হাতার জামা পরিধান এবং মশার ওষুধ কয়েল বা ভেপোরাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করলে এই রোগ ঠেকানো অনেকটাই সম্ভব হবে।

জ্বর হলে তা হালকাভাবে না নিতে চিকিৎসক জনগণের প্ৰতি আহ্বান জানিয়েছেন। যদি কেউ জ্বরে ভুগছেন তাহলে দেরি না করে নিকটবর্তী হাসপাতালের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ফার্মাসি থেকে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হওয়া উচিত। চিকিৎসায় বিলম্ব হলে মামলা জটিল রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দেন ওই চিকিৎসক।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com