বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সশস্ত্ৰ জওয়ানদের মেঘালয়ের গ্ৰামে অনুপ্ৰবেশে আতঙ্ক

বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সশস্ত্ৰ জওয়ানদের মেঘালয়ের গ্ৰামে অনুপ্ৰবেশে আতঙ্ক

শিলং: বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের(বিজিবি)সশস্ত্ৰ জওয়ানরা মেঘালয়ের গ্ৰাম মুক্তাপুরে অনুপ্ৰবেশ করে ভারতীয় গ্ৰামবাসীদের অভ্যন্তরীণ সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে শাসিয়ে গেছে। স্থানীয় গ্ৰামবাসীরা সোমবার একথা জানিয়েছেন। শনিবার বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা সীমান্ত টপকে এপারে অনুপ্ৰবেশের ঘটনায় মুক্তাপুরের গ্ৰামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর(বিএসএফ)ইন্সপেক্টর জেনারেল কুলদীপ সাইনি আইএএনএসকে বলেছেন,এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি তাঁর ইউনিটের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। তিনি বলেন,বর্তমানে সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণেই রয়েছে।

‘আমরা এটা বুঝে উঠতে পারছি না যে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীরা কেন ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকলো এবং কেনই বা মুক্তাপুর গ্ৰামে সড়ক নির্মাণ বন্ধ করতে গ্ৰামবাসীদের শাসালো’-মুক্তাপুরের বাসিন্দা জনৈক কেমেন মিনশিয়াং একথা বলেন। ‘বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীর সশস্ত্ৰ জওয়ানরা আমাদের গ্ৰামে অনুপ্ৰবেশ করে গ্ৰামবাসীদের সড়কের কাজ বন্ধ করতে বলার পরও বিএসএফ কর্মীরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করার বিষয়টি

আমাদের দুঃখ দিয়েছে। এভাবেই কি বিএসএফ সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে যার দরুন যে কেউ সীমান্ত টপকে আমাদের ভূখন্ডে ঢোকার অনুমতি পেয়ে খাচ্ছে-প্ৰশ্ন তোলেন গ্ৰামবাসীরা। সীমান্তের জিরো লাইন অতিক্ৰম করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসের জওয়ানরা-মুক্তাপুর গ্ৰামে ঢোকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইনি। তিনি বলেন,‘বিজিআর জওয়ানরা জিরো লাইন থেকে ১৫০ গজের ভিতর গ্ৰামবাসীদের সড়ক নির্মাণে বাধা দিয়েছিল’।

সাইনি বলেন,মেঘালয়ে বাংলাদেশে সীমান্ত ঘেঁষা সব সীমান্ত ফাঁড়িগুলিকে(বিওপি)সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তাই এখন থেকে বিজিবি-র জওয়ানরা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্ৰবেশ করার কোনও সু্যোগই পাবে না। তবে মুক্তাপুরের গ্ৰামবাসীদের দুশ্চিন্তা এখনও দূর হয়নি। তাদের আশঙ্কা ফের বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীর সশস্ত্ৰ জওয়ানরা রাতের বেলায় গ্ৰামে ঢুকে গ্ৰামবাসীদের উত্যক্ত করতে পারে। মুক্তাপুর গ্ৰামের মানুষের মধ্যে এখন ভয় বাসা বেঁধেছে সীমান্তে বিএসএফ-এর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালনের জন্য। ‘এর আগে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা গ্ৰামে ঢুকে পিরদিওয়া কয়েকদিনের জন্য দখল করে রাখার কথা আজও গ্ৰামবাসীদের স্মরণে রয়েছে। আমরা আর ওই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না’-বলেন মিনশিয়াং।

পিরদিওয়া গ্ৰাম থেকে ২০ কিলোমিটার পুবে রয়েছে মুক্তাপুর গ্ৰামটি। উল্লেখ্য ২০০১ সালে বিডিআর পিরদিওয়া গ্ৰামটি কয়েকদিন দখল করে রেখেছিল গ্ৰামটি বাংলাদেশের অংশ দাবি করে। পরে অবশ্য গ্ৰামের দখল ছেড়ে পিছু হটে বিডিআর। বাংলাদেশের সঙ্গে মেঘালয়ের মোট সীমান্ত এলাকা রয়েছে ৪৪৩ কিলোমিটার। ওই সীমান্ত এলাকার বেশ কিছু অংশ পাহাড়ি ও দুর্গম। কোনও সীমান্ত বেড়াও নেই ওই এলাকায়। তাই এলাকাটি অনুপ্ৰবেশ প্ৰবণ।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com