বিশ্বনাথ হত্যাকাণ্ডের প্ৰধান অভিযুক্ত গ্ৰেপ্তার

বিশ্বনাথঃ বিশ্বনাথ পুলিশ পূর্ণিমা নার্জারির চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার প্ৰধান অভি্যুক্তকে গ্ৰেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটে গত ৫ সেপ্টেম্বর। ধৃত অভিযুক্তকে বিনোদ নার্জারি(৩৩)নামে শনাক্ত করা হয়েছে। খবরে প্ৰকাশ,প্ৰধান অভিযুক্ত বিনোদ সম্পর্কে নিহত পূর্ণিমার মামা। ২০ হাজার টাকার জন্য মামা বিনোদ তার নিজের ভাগ্নিকে বুধবার সন্ধ্যায় হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বনাথ জেলার হাইদাবাড়ির শিয়ালমারি গ্ৰামে রেললাইনের কাছ থেকে পূর্ণিমার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পূর্ণিমা অসম-অরুণাচল প্ৰদেশ সীমান্তের কাছে বালিচাঙের চামদুলির বাসিন্দা।
পুলিশ এরআগে প্ৰাথমিক তদন্তের সময় পূর্ণিমার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছিল এবং ওই মোবাইল ফোনের সূত্ৰে মৃত পূর্ণিমার পরিবারের সঙ্গে যোগা্যোগ করে পুলিশ। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে পূর্ণিমা গত ২ সেপ্টেম্বর গহপুর থেকে ট্ৰেনে চাপার পর নিঁখোজ ছিলেন।
উল্লেখ্য যে ২ সেপ্টেম্বর গহপুর থেকে ট্ৰেনে চেপে পূর্ণিমা বাড়ি ফিরছিলেন বাবার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা সংগ্ৰহ করে। তাঁর বাবা বর্তমানে অরুণাচল প্ৰদেশে কর্মরত। পুলিশ শুক্ৰবার সন্ধ্যায় সন্দেহবশত বিনোদকে জেরা করে। এদিকে ঘটনার পরের দিনই অভিযুক্ত বিনোদ বিশ্বনাথ থানায় যায় এবং হত্যাকাণ্ডে পূর্ণিমার অভিভাবকরা জড়িত থাকার অভি্যোগ করে। তবে পুলিশ সন্দেহবশত শুক্ৰবার সন্ধ্যায় বিনোদকে জেরা করে এবং ওই সময় তার গলায় কিছু আঁচড়ের দাগ ও হাল্কা ক্ষত দেখতে পায়। ফলে পুলিশ বিনোদকে আরও জেরা শুরু করে। পরে বিনোদ হত্যাকাণ্ডের পুরো বিবরণ দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে নেয়। দোষ কবুল করার সময় অভিযুক্ত বিনোদ জানিয়েছে,পূর্ণিমা গহপুর থেকে বিশ্বনাথ রেল স্টেশন পৌঁছার পর সে সাইকেলে চেপে তাকে আনতে গিয়েছিল। পরে মরা পুখুরির কাছে মাঝ রাস্তায় পূর্ণিমাকে গলা টিপে হত্যা করে সে। পূর্ণিমা অরুণাচল প্ৰদেশে থাকা বাবার কাছে থেকে যে ২০ হাজার টাকা সংগ্ৰহ করেছিল অভিযুক্ত বিনোদ ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিনোদ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় মেয়েটি ওই টাকা পাশে থাকা পুকুরে ছুঁড়ে ফেলায়।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ অভিনন্দনের গ্ৰেপ্তারিতে জড়িত পাক কমান্ডো ভারতীয় সেনার গুলিতে নিহত
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Biswanath Police cracks murder case within 24 hours, Accused Arrested | The Sentinel News